পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিলে দাদার চিকিৎসাই হ’ত না। এখানে কেউ তোমায় তো দেখে না দেখছি। হাসতোলের লোকে যথেষ্ট করেছে। বাড়িতে সে রকম হয় না। আমাদের অবস্থাৱ লোকের ক্ষে হাসপাতালই ভাল। বৌদিদির বাবা মা কেউ নেই-মা আগেই মারা গিয়েছিলেন-বাবা মারা গিয়েছেন আরছর। একথা কলকাতাতেই বৌদিদির ভায়ের মুখে শুনেছিলাম। বৌদিদির সে ভাইটিকে দখে আমার মনে হয়েছিল এ নিতান্ত অপদাৰ্থ-তার ওপর নিতান্ত গরীব, বৰ্ত্তমানে কপৰ্দকন বেকার-তার কিছু করবার ক্ষমতা নেই। বয়সও অল্প, সে কলকাতা ছেড়ে আসে নি, সখানে চাকুরির চেষ্টা করছে। ভেবে দেখলাম। এদের সংসারের ভাৱ এখন আমিই না নিলে এতগুলি প্ৰাণী না খেয়ে মারবে । দা এদের একেবারে পথে বসিয়ে রেখে গেছে। কাল কি করে চলবে সে সংস্থানও নেই দের । তার উপর দাদার অসুখের সময় কিছু দেনাও হয়েছে। এদের ছেড়ে কোথাও নড়তে পারলুম না শেষ পৰ্যন্ত। কালীগঞ্জেই থাকতে হ’ল। ‘খান থেকে দাদার সংসার অন্য স্থানে নিয়ে গেলাম না, কারণ আটঘরাতে এদের নিয়ে বার যে নেই, অন্য জায়গায় আমার নিজের রোজগারের সুবিধা না হওয়া পৰ্য্যন্ত বাড়িफु। छेि कि क'हद्र ? এ সময়ে সাহায্য সত্যি সত্যিই পেলুম দাদার সেই মাসীমার কাছ থেকে-সেই যে তাসার কারখানার মালিক কুণ্ডু মশায়ের তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী-সেবার যিনি আমাদের নিমন্ত্রণ 'ৱে খাইয়েছিলেন । এই বিপদেৱ সময় আমাদের কোন ব্ৰাহ্মণ প্ৰতিবেশীর কাছ থেকে সেকম সাহায্য আসে নি। Fil C 5 DLDDS SBDBODBD DB zSDBBD DBBDDD DBD EED qDD S Y BDD মারি ওপর পড়ল, তখন দেখলাম এ এক শিক্ষা-মানুষের দৈনন্দিন অভাব-অনটনের মধ্যে য়ে, ছোটখাটো ত্যাগ স্বীকারের মধ্যে দিয়ে, পরের জন্যে খাটুনি ও ভাবনার মধ্যে দিয়ে, তুচ্ছ অকিঞ্চিৎকর পারিপাশ্বিকের মধ্যে দিয়ে এই যে এতগুলি প্ৰাণীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও জীবনত্রিার গুরুভার নিজের ওপর নিয়ে সংসার-পথের চলার দুঃখ-এই দুঃখের একটা সার্থকতা ছে। আমার জীবন এর আগে চলেছিল শুধু নিজেকে কেন্দ্ৰ ক’রে, পরকে সুখী ক’রে জেকে পরিপূর্ণ করার শিক্ষা আমায় দিয়েছে মালতী। পথে বেরিয়ে অনেক শিক্ষার মধ্যে টই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। কত জায়গায় চাকুরি খুঁজলাম। আমি যে লেখাপড়া জানি বাজারে তার দাম কানাকড়িও হাতের কোন কাজও জানি নে, সবাতাতেই আনাড়ি। কুণ্ড-মহাশয়ের স্ত্রীর সুপারিশ Sut