পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিমধ্যে একদিন সীতার শ্বশুরবাডি গেলাম সীতাকে দেখতে। দাদা ফ্লারা যাওয়া পরে ওর সঙ্গে আমার দেখা হয় নি, কারণ এক বেলার জন্যেও ওরা সীতাকোঠাতে রাষ্ট্র হয় নি। সীতা দাদার নাম ক’রে অনেক চোখের জল ফেললে। দাদার সঙ্গে ওর শে দেখা মাযের মৃত্যুর সময়ে। তার পর আমার নিজের কথা অনেক জিজ্ঞেস করলে সন্ধ্যাবেলায় ও রান্নাঘরে বসে রাধছিল, আমি কাছে বসে গল্প করছিলাম। ওর শ্বশুরবাড়ি অবস্থা ভাল না, বসতবার্টিটা বেশ বডই বটে, কিন্তু বাস করবার উপযুক্ত কুঠুরী মাত্র চারটি তাদের ও নিতান্ত জীর্ণ অবস্থা, চুনবালি-খাসা দেওয়াল, কানিসের ফাটলে বট অশ্বখের গাছ রান্নাঘরের এক দিকের ভাঙা দেওয়াল বঁাশের চাচা দিয়ে বন্ধ, কাত্তিক মাসেব হিম তাৰে আটকাচ্ছে না। সীতার বড-জা ওদিকে আর একটা উনুনে মাটির খুলিতে টাটুকা খেজুৰ রস জাল দিচ্ছিলেন, তিনি বললেন-যা হবার হয়ে গেল ভাই, এইবার তুমি একটা বিে কর দিকি ? এই গায়েই বঁাডুয্যেবাডিতে ভাল মেয়ে আছে, যদি মত দাও কালই মে.ে দেখিয়ে দিই । সীতা চুপ ক’বে রইল। আমি বললাম-একটা সংসার ঘাডে পড়েছে, তাই অতি কা চালাই, আবায় একটা সংসার চালাব কোথা থেকে দিদি ? সীতা বললে-বিয়ে আবে কাউকে করতে বলি নে মেজদা, এ অবস্থায় বড়দারও বিযে কা উচিত হয। নি । তোমারও হবে না। তার চেয়ে তুমি সমিসি হয়ে বেডাচ্ছিলে, ঢের ভা করেছিলে। আচ্ছা মেজদা, তুমি নাকি খুব ধাৰ্ম্মিক হয়ে উঠেছ সবাই বলে ? আমি হেসে বললাম-অপরের কথা বিশ্বাস করিস নাকি তুই ? পাগল! ধাৰ্ম্মি হলেই হ’ল অমনি-না ? আমি কি ছিলাম, না-ছিলাম তুই তো সব জানিস সীতা । আমা ধাতে ধাৰ্ম্মিক হওয়া সয় না, তবে আমার জীবনের আর একটা কথা তুই জানিস নে, তো.ে বলি শোন। ওদের মালতীর কথা বললুম, দু-জনেই একমনে শুনলে । ওর বড-জা বললে-এই দে ভাই মনেব মত মানুষ তো পেয়েছিলে-ওরকম ছেড়ে এলে কেন ? আমি বললাম-এক তরফ । তাতে দুঃখই বাড়ে, আনন্দ পাওয়া যায় না। সীতা .ে সব শুনিলি, তোর কি মনে হয় ? সীতা মুখ টিপে হেসে বললে--এক তরফা ব’লে মনে হয় না। তোমার সঙ্গে অত মিশ D D YYK JDBB BDBDKLSL BDB D একটু চুপ ক’রে থেকে বললে-তুমি আর একবার সেখানে যাও, মেজদা। আমি ঠি বলছি তুমি চলে আসবার পরেই সে বুঝতে পেরেছে তার আখড়া নিয়ে থাকা ফাঁকা কাণ্ড ছেলেমানুষ, নিজের মন বুঝতে দেরি হয়। এইবার একবার যাও, গিয়ে তাকে নিয়ে এল তো Se