পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা আমি জানি নৌ-তবে বকেন না যে, এটা আমি জানি । বরং একদিন হিরন্ময়ী বললে-আজ আলো জেলে একটা বই পড়ছি, মা বললে আজ ষে * তুই তোর মাস্টারের কাছে গেলিনে বড় ? তাই এলুম মাস্টার মশায়। আমি বললাম--তা বেশ তো, গল্পের বই পড়লেই পাৱতে । মা না ব’লে দিলে তো আজ আসতে না ? কথাটা বলতে গিয়ে নিজের অলক্ষিতে একটা অভিমানের সুর বার হয়ে গেল।--হিরন্ময়ী সেটা বুঝতে পেরেছে আমনি। এমন বুদ্ধিমতী মেয়ে এইটুকু বয়সে। বললে-নিন, আর রাগ করে না। ভেবে দেখুন, আপনি না। আমায় এখানে এলে তাড়িয়ে দিতেন আগে আগে ? দুঃখিত ভাবে বললাম-ছিঃ, ও-কথা ব’লে না। হিরণ, তাড়িয়ে আবার তোমায় দিয়েছি কবে ? ও-কথাতে আমার মনে কষ্ট দেওয়া হয় । হিরন্ময়ী মুখে কাপড় দিয়ে খিলখিল ক’রে উচ্ছসিত ছেলেমানুষি হাসির বন্যা এনে দিলে। ঘাড় দুলিয়ে দুলিয়ে বলতে লাগল-না-না দেন নি ? বটে ? একদিন-সেই --তাড়ালেন না । আজ আবার বলা হচ্ছে- । পরে আমার সুরের নকল করতে চেষ্টা করে। -“ওতে আমার মনে কষ্ট দেওয়া হয়?--কি মানুষ আপনি -হি-হি-হি-হি- আমি মুগ্ধদৃষ্টিতে ওর হাসিতে উদ্ভাসিত সুকুমার লাবণ্যভরা মুখের দিকে চেয়ে রইলামচোখ আর ফেরাতে পারি নে-কি অপূর্ব হাসি! কি অপূর্ব চোখমুখের শ্ৰী ! যখন চোখ নামিয়ে নিলাম তখন সে আমার বেলুনটা তুলে নিয়ে রুটি বেলতে ব’সে গিয়েছে। সেদিন ও যখন চলে যায়, বোকের মাথায় অগ্রপশ্চাৎ না ভেবেই ওকে আবার বললাম-এ রকম আর এস না, হিরণ। না, সত্যি বলছি তুমি আর এস না । মনকে খুব দৃঢ় ক’রে নিয়ে কথাটা ব’লে ফেলেই ওর মুখের দিকে চেয়ে আমার বুকের মধ্যে যেন একটা তীক্ষ তীর খচ করে বিধিলো । দেখলাম ও বুঝতে পারে নি। আমি কেন একথা বলছি—কি বােধ হয় দোষ ক’রে ফেলেছে ভেবে ওর মুখ বিবৰ্ণ হয়ে গিয়েছে উদ্বেগ ও ভয়ে। আমার মুখের দিকে একটুখানি চেয়ে রইল-যদি মুখের ভাবে কারণ কিছু বুঝতে পারে। বুঝতে পেরে যাবার সময় দেখলাম। শুষ্ক বিবৰ্ণ মুখে বললে,-আমায় তাড়িয়ে দিলেন তো ? शै cथून-ऊांफुांदृश्न कि ना । দুঃখে আমার বুক ফেটে যেতে লাগল। নিমগাছটার তলা দিয়ে ও ওই যাচ্ছে, এখনও বেশী দূৱ যায় নি, ডেকে দুটাে মিষ্টি কথা বলব ? ছেলেমানুষকে একটু সাত্মনা দেব ? BDDBB BB D EELE SLLLaBD LLDL DDJSaDS S切*●