পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহজ, কিন্তু এই সব ছোট জিনিস প্ৰাণে গেঁথে থাকে-ফলুই মাছের সরু চুল-চুল কাটার মত । গায়ের জোরে সে কঁাটা তুলে ছুড়ে ফেলে দিতে গেলে, বিপদের সম্ভাবনা বাড়ে বই RCN পুরুষমানুষ প্রেমের ব্যাপারে আত্মরক্ষা ক’রে চলতে পারে না যেটা অনেক সময়ে মেয়েরা পারে। যেখানে যা হবার নয়, পাবার নয়, সেখানেও তারা বোকার মত ধরা দিয়ে বসে থাকে -এবং নাকাল তার জন্যে যথেষ্ট হয়। কিন্তু পুরুষমানুষই আবার বেগতিক বুঝলে ষত সত্বর হাবুডুবু খেতে খেতেও সঁতরে তীরের কাছে আসতে পারে-মেয়েরা গভীর জলে একবার গিয়ে পড়লে অত সহজে নিজেদের সামলে নিতে পারে না । তবুও আমি হিরন্ময়ীকে দূবে রাখবার চেষ্টাই করলাম। একদিন দুপুরের পরে হিরন্ময়ীদের বাড়িতে পুলিস এসেছে শুনলাম। পুলিস কিসের ? একে ওকে জিজ্ঞেস করি কেউ সঠিক উত্তর দেয় না। অথচ মনে হ’ল ব্যাপারটা সবাই জানে। এগিয়ে গেলুম-ওদের বাড়ির সামনের তেঁতুলতলায় বড় দারোগা চেয়ার পেতে ব’সে- পাড়ার লোকদের সাক্ষ্য নেওয়া চলেছে। দেখলাম গ্রামে ওদের মিত্র বড় কেউ নেই। আমি আগেও যে একথা না জানতাম এমন নয়—তবে পাড়াগায়ের কানায়ুষোতে কান छेि नि । বিকেলের দিকে হিরন্ময়ীর মা আর বিধবা দিদিকে থানায় ধ’রে নিয়ে গেল। কাছারির মুহুরী সাতকড়ি মুখুয্যে আমার কাছেই দাড়িয়েছিল। সে বললে-ও মেয়েটার তত দোষ দিই নো-মা-ই যত নষ্টের গুরুমশাই। ওই তো ওকে শিখিয়েছে। নইলে মেয়েটাবা সাধ্যি কি,-কিন্তু মাগী কি ডাকাত ! মেয়েটার প্রাণের আশঙ্কা করলি নে একবারও ? ব্যাপারটা বুঝতে আমার দেরি হ’ল না। সাতকড়ি আরও বলল-কালীনাথ গাঙ্গুলী কি গ্রাম ত্যাগ করেছে সাধে ? এইজন্যেই সে বাড়িমুখো হয় না, ওদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক 3ts এত কথা আমি কিন্তু জানতাম না-এই নতুন শুনলাম। আমি মুশকিলে পড়ে গেলাম }-আমি এখন কি করি ? হিরন্ময়ীর মা আর দিদি দোষী কি দোষী নয়-সে। বিচারের ভার আছে অন্য বিচারকের ওপর-সাতকডি মুখুয্যের ওপর নয়। কিন্তু এদের মোকদ্দমা উঠলে উকীল নিযুক্ত কে করে, এদের স্বাৰ্থ বা কে দেখে, এদের জন্যে পয়সা খরচই বা কে रुद्र ? এদিকে আর এক মুশকিল। ওর মা আর দিদিকে যখন ধ’রে নিয়ে গেল, হিরন্ময়ী তখন ওদের বাড়ির সামনে আড়ষ্ট হয়ে দাড়িয়ে। সামনে অন্ধকার রাত, সেরাত্রে সে একাই বা বাড়িতে থাকে। কেমন ক’ৱে, বাড়িতে আর যখন কেউই নেই- অথচ সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ তাকে እኳም ዓሌ