পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজের বাড়িতে ডাকলে না। সন্ধ্যার সময় ও-পাড়ার কৈলাস মজুমদারের স্ত্রী এসে ওকে ও-অবস্থায় দেখে বললেন-ওম, এ মেয়েটা এখানে এক দাড়িয়ে আছে যে ! ছেলেমানুষ, DT LE BDBBDD D DD BBBD S LDBD D D iDB BBDDB BB 0JYLi LBB BDD চিনি। ও পাগলী, আনন্দময়ী। এস ত মা হিরণ, তোমাদের হারিকেনটা বাড়ির ভিতর BBB DD BB DD Y S LLLLY S YYL BD BD BD D DDYSLqBB D DDD তেমন জাত । মজুমদার-গিল্পী যদি কোন কথা না ব’লে নিঃশব্দে হিরন্ময়ীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতেন তবে হয়ত কোনই গোলযোগ বাধতো না-কিন্তু শেষের কথাটি ব’লে ফেলে তিনি নিতান্তু নিৰ্ব্বোধের মত কাজ ক’রে বসলেন। কাছেই গ্রামের সমাজপতি আচাৰ্য্যি-মশায়ের বাড়ি। তাদের সঙ্গে বাধলো তুমুল ঝগড়া। শশধর আচাৰ্য্যের স্ত্রী অনেকক্ষণ নিজের মনে একতরফা গেয়ে যাবার পর উপসংহারে বললেন-ও বড় ভাল মেয়ে-না ? মুখ খুললেই অনেক কথা বেরিয়ে পড়বে। সব জানি, সব বুঝি। চুপ করে থাকি মুখ বুজে-বলি মাথার ওপর একজন আছেন, তিনিই দেখবেন সব-আমি কেন বলতে যাই ? মজুমদার-গিল্পী বললেন-যা করা ন-বেী, আবার এ মেয়েটার নামে কেন যা তা বলছ ? সেটাই কি ভগবান সইবেন ? আচাৰ্য্যি-মশায়ের স্ত্রী বারুদের মত জলে উঠলেন-আরও দ্বিগুণ চেচিয়ে বললেন-ধৰ্ম্ম দেখিও না বলে দিচ্ছি, ভাল হবে না। ওই রয়েছে মুখুয্যেরা, ভট্টচায্যিরা, জিজ্ঞেস কর গিয়ে। শুই মেয়ে ওই পাঠশালার মাস্টার-ছোকরার কাছে রাত বারোটা অবধি কাটিয়ে আসে-রোজ তিনশ তিরিশ দিন। সারা রাত্তিরও থাকে এক এক দিন। বলুক ও মেয়েই বলুক, সত্যি না মিথ্যে। ভেবেছিলুম। কিছু বলব না-মরুক গে, যার আঁস্তাকুড়, সেই গিয়ে ঘাটুক, ন| ব’লে পারলাম না । কে ও মেয়েকে ঘরে জায়গা দিয়ে কালকে আবার একটা হাঙ্গামা বাধাতে ८ ? আমি এতক্ষণ চুপ ক’রে ছিলুম, কথা বলি নি-কোন পুরুষমানুধ উপস্থিত ছিল না ব'লে। চেঁচামেচি তেনে আচাৰ্য্যি-মশায়, সাতকড়ি ও সনাতন রায় ঘটনাস্থলে এসে দাড়াতেই আমি এগিয়ে গিয়ে বললুম-আপনার আমার মায়ের মত।--আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ, হিরণকে এ ঝগড়ার মধ্যে মিথ্যে আনবেন না । ও আমার ছাত্রী, ছেলেমানুষ, আমার কাছে যায় সন্ধ্যেবেলা গল্প শুনতে-কোনদিন পড়েও । রাত নটা বাজতেই চলে আসে। একটা নিষ্পাপ নিরপরাধ মেয়ের নাম এ-সবের সঙ্গে না জড়ানোই ভাল। মা আপনি ওকে বাড়িতে নিয়ে যান । এতে ফল হ’ল উলটো। ঝগড়া না থেমে বরং বেড়ে উঠল। মজুমদার মশায়ের দুই