পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলে ও ছোট ভাই এসে মজুমদার-গিল্পীকে বকবকি করতে লাগল-তিনি কেন ওপাড়া থেকে এসে এই-সব ছেড়া ল্যাঠার মধ্যে নিজেকে জড়াতে যান ? এ বয়সেও তঁর জ্ঞান যদি না হয়। তবে আর কবে হবে••• তিনি চলে আসুন বাড়ি । এ-পাড়ার ব্যবস্থা এ-পাড়ার লোকে বুঝবে, তিনি কেন মাথাব্যথা করতে যান-ইত্যাদি । 总 যাকে নিয়ে এত গোলমাল, সে ভয়ে ও লজ্জায় কাঠ হয়ে দাড়িয়েই আছে ওদের বাড়ির দাদর দরজায়। ওর চোখে একটা দিশেহারা ভাব, লজ্জার চেয়ে চোখের চাউনিতে ভয়ের চিহ্নই বেশী। ওর সেই কথাটা মনে পড়ল-জানেন, মাস্টার মশায়, আমায় সবাই ভয় করে, সবাই মানে এ পাড়ায়-আমার সঙ্গে লাগতে এলে দেখিয়ে দেব না। মজা ? বেচারী মুখরা হিরন্ময়ী ! শেষ পৰ্যন্ত কৈলাস মজুমদারের স্ত্রী ওকে না নিয়েই চলে গেলেন। তার দেওর ও ছেলেরা একরকম জোর করেই তাকে সরিয়ে নিয়ে গেল । আমি তখন এগিয়ে গিয়ে বললুম-হিরণ, তুমি কিছু ভেবে না। আমি এতক্ষণ দেখছিলাম এরা কি করে। যে ভয়ে তোমাকে ডাকতে পারি নি, সে ভয় আমার কেটে গিয়েছে। তুমি একটু একলা থাক-আমি কাওরাপাডা থেকে মোহিনী কাওরাণীকে ডেকে আনছি। সে তোমার ঘরের বারান্দাতে শোবে রাত্রে । তাহ’লে তোমার রাত্রে একা থাকবার সমস্যা মিটে গেল। আর এক কথা-তুমি রান্না চড়িয়ে দাও ; চাল-ডাল সব আছে তো ? কাওরাপাড়া থেকে ফিরে আসতে আধা ঘণ্টার বেশী লাগল। মোহিনী বুড়ীকে চার আনা পয়সা দিয়ে রাত্রে হিরণদের বাড়িতে শোবার জন্য রাজী করিয়ে এলুম। ফিরে এসে দেখি দালানের চৌকাঠে বসে হিরন্ময়ী হাপুল্স নয়নে কঁদছে। অনেক ক’রে বোঝালুম। বড় কষ্ট হ’ল ওকে এ অবস্থায় দেখে । বললে-মার আর দিদির কি হবে মাস্টার মশায় ? আপনি BDDD DBBDBB BDD uBB DDD SS SLBBBD DB DB D LDLB হেসে সাত্ত্বনা দিলাম। বললাম-রাধ হিরণ। খাওয়াদাওয়া কর । কিছু ভেবে না-আমি কাল রাণাঘাট যাব। ভাল উকীল দিয়ে জামিনে খালাস ক’রে নিয়ে আসবার cष्छे कद्रव, ख्ष क्रुि ? হিরণ কিছুতেই রাধতে চায় না-শেষে বললে-আপনিও এখানে খাবেন। কিন্তু। ঠিক তো ? ও রাধছে ব’সে, আমাকে রান্নাঘরেই বসে থাকতে হ’ল-ও যেতে দেয় না, ছেলেমানুষ, ভয় করে। কেবল জিজ্ঞেস করে, মা আর দিদির কি হবে । স্নায়া হয়ে গেল, ঠাই ক’রে আমায় ভাত বেড়ে দিলে। এদিকে হিরণ। বড় অগোছালো,