পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

বাইরে গিয়ে আমি একা গাঁয়ের পেছনের মাঠের দিকে চলে গেলুম-একটা বড় তেঁতুল গাছের তলায় সারা দুপুত্ব ও বিকেল চুপ ক’রে বসে রইলুম। দিন কতক এই ভাবে কাটল। তারপর পাড়ার দু-পাঁচজন লোকে এসে জ্যাঠামশায়ের সঙ্গে কি পরামর্শ করলে। বাবাকে কোথায় তারা নিয়ে গেল, সবাই বললে কলকাতায় হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তারা ফিরেও এল, শুনলুম, বাবাকে নাকি হাসপাতালে ভক্তি করে নিয়েছে। শীগগিরই সেরে বাড়ি ফিরবেন। আমরা আশ্বস্ত হলুম। দশ-বার দিন পরে একদিন বিকেলের দিকে আমি ও সীতা পথে খেলা করচি, এমন সময় সীতা বললে—ঐ যে বাবা!" দূরে পথের দিকে চেয়ে দেখি বাবাই বটে। চুটে আমরা বাড়িতে মাকে খবর দিতে গেলুম। একটু পরে বাবা বাড়ি ঢুকলেন-এক হাঁটু ধুলো, রুক্ষ চুল। ওপর থেকে জ্যাঠাইমা নেমে এলেন, কাকারা এলেন । বাবাকে দেখে সবাই চটে গেলেন। সবাই বুঝতে পারলে বাবা এখনও সারেন নি, তবে সেখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে আসার কি দরকার ? বাবা একটু বসে থেকে বললেন, ভাত আছে? কাল ওই দিকের একটা গাঁয়ে দুপুৱে দুটো খতে দিয়েছিল, আর কিছু খাই নি। সারাদিন, খিদে পেয়েছে। কলকাতা থেকে পায়ে হেঁটে আসচি-ছেলেপিলে ছেড়ে থাকতে পারলাম না-চলে এলাম । একটু পরেই বোঝা গেল বাবা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে এসেছেন এবং যেমন পাগল SDBB BDDuDDSS gDB S BDB BD DBYYLDDBB BK DBBDB EtDS BDDKS SDBGL ;াগ প্ৰকাশ করতে কখনও দেখি নি-কিন্তু আমি সীতা দাদা তিন ডাইবোনে খুব চটলাম । আমাদের চটবার কারণও আছে-খুব সঙ্গত কারণই আছে। আমাদের প্রাণ এখানে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বাবা আবার পুরোমাত্রায় পাগল হয়ে উঠলেন--তিনি দিনরাত বসে বসে বকেন। আর কেবল খেতে চান। মা দুটি বাসি মুড়ি, কোনো দিন বা ভিজে চাল, কোনো দিন শুধু একটু গুড়—এই খেতে দেন। তাও সব দিন বা সব সময় জোটানো কষ্টকর। আমরা দুপুরে, খাই তো রাতে আর কিছু খেতে পাইনে-নয়ত সারাদিন পরে হয়ত সন্ধ্যার সময় খাই । মা কোথা থেকে চাল যোগাড় করে আনেন আমরা জানিনে-কখনও জিজ্ঞেসও করিনি। কিন্তু বাড়িতে আর আমাদের তির্ভুবার জো নেই। বাড়িসুদ্ধ লোক আমাদের ওপর বিরূপ-দু-বেলা তাদের অনাদর আর মুখনাড়া সহ্য করা আমাদের অসহ্য হয়ে উঠেছে। SDBBD SBBB DDE DBB BBS EEBDB DBDDBDB BD D DD KYqiD DD অত্যন্ত সচ্ছল, ছেলেবেলায় সীতাকে ভুটিয়া চাকরে নিয়ে বেড়াত আর থাপা মানুষ করেছিল আমাদের। ছ-বছর বয়স পৰ্য্যন্ত আমি থাপার কঁধে উঠে বেড়াতাম মনে আছে। আমাদের ‰ንዔ