পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

M না, দুঃখ করে না, নালিশ করে না! আমি জানতে পারলাম। এই জন্যে যে, আমি সে-সময় নিতাইকাকার জন্যে আগুন আনতে রান্নাঘরে গিয়েছিলাম-সীতা কোন থা আমায় বলেনি। এ বাড়ির কাণ্ডই এ রকম, আজ এক বছরের ওপ দেখে আসচি। অবিচ্ছি নিজের জন্য আমি গ্ৰাহও করিনে, আমার দুঃখ স্বত্ব 罩可町砾目 মায়ের দুঃখও এ বাড়িতে কম নয়। অত খাটুনির অভ্যোস মায়ের ছিল না কোন কালে। ই শীতকালে মাকে গোছা গোছা বাসন নিয়ে ভোরে পুকুরের জলে নামতে হয়, মা’কে আর তাকে । খিড়কি পুকুরের জল সকালে থাকে ঠাণ্ডা বরফ, রোদ তো পড়ে না জলে কোন লেই, চারিধারে বড় বড় আমি আর স্বপুরির বাগান। এতটুকু রোদ আসে না ঘাটে, সেই স্কনে হিমজলে বসে বাসন মাজা, যেমন তেমন ক’রে মাজলে তো এ বাড়িতে চলবে ন্ম গাথাও দাগ থাকবার জো নেই একটু, জ্যাঠাইমা দেখে নেবেন নিজে। সে যে কি কষ্ট হয় য়ের, মা মুখ বুজে কাজ করে যান, বলেন না কিছু, আমি তো বুঝতে পারি। ও-সব কাজ बी रुद्धछन् कथन ? সকলের চেয়ে কাজ বাড়ে পূজো-আচ্চার দিনে-এ বাড়িতে বারো মাসের বারোটা র্ণিমাতে নিয়মিত ভাবে সত্যনারায়ণের সিমি হয়। গৃহদেবতা শালগ্রামের নিত্যপূজা তে: [াছেই । তা ছাড়া লক্ষ্মীপূজা মাসে একটা লেগেই থাকে। এ-সব দিনে সংসারের দৈনিক “সন বাদে পূজোর বাসন বেরোয় ঝুড়িখানেক। এদের সংসার অত্যন্ত সাত্ত্বিক গোড়া হিন্দুর সার-পূজো-আচ্চার ব্যাপারে পান থেকে চুন খসবার জো নেই। সে ব্যাপারের দেখাশুনো রেন জ্যাঠাইমা স্বয়ং। ফলে ঠাকুরঘরের কাজ নিয়ে যারা খাটাখাটনি করেন, তাদের প্রক্তি ট্যাগত হয়ে ওঠে। পূজোর বাসন ষে-দিন বেরোয়, মা সে-দিন সীতাকে সঙ্গে নিয়ে যান ঘাটে। সে যতটা রে মাকে, সাহায্য করে বটে, কিন্তু একে সে ছেলেমানুষ, তাতে ও-সব কাজ তার অভ্যোস ই একেবারেই। জ্যাঠাইমার পছন্দমত পূজোর বাসন মাজতে সক্ষম হওয়া মানে অগ্নিরীক্ষায় উত্তীৰ্ণ হওয়া-বরং বোধ হয় শেষেরটাই কিছু সহজ । জ্যাঠাইমা বলবেন,-কোষাষি মাজবার ছিরি কি তোমার সেজোবোঁ ? কতদিন ব’লে দিইচি তামার পাত্তরে তেঁতুল, বুন দিলে ম্যাড়ম্যাড় করবেই।-শুধু বালি দিয়ে ঘষলে কি আর-ঠাকুরদেবতার *ांच७णार्थे তা একটু ছেদ ক’রে লোকে করে ? সব তাতেই খিরিস্টানি মা জবাব খুঁজে পান না। যদি তিনি বলতে যান-“না বড়দি, নেবু ঘষেই তো ঠায় রের তামার বাসন বরাবরই-” J s জ্যাঠাইমা বাধা দিয়ে বলবেন,-আমার চােখে তো এখনো ঢালা বেরোয়নি মেজৰে