পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশ্বলতা দিয়ে বাসন মাজলে অমনি ছিরি হয় বাসনের ? ক’কে শেখাতে এসেচ ? কি বলব, ভুবনের মা হেঁসেলের কাজ সেরে সময় করতে পারে না, নইলে বাসন-মাজা কা”কে কলে জ্যাঠাইমা নিজের কথার প্রতিবাদ সহ করতে পারেন না, আর কেনই বা পারবেন, তিনিই এ বাড়ির কািন্ত্রী, এ বাড়ির সর্বেসর্বা, পুত্রবধুৱা, জায়েরা, ভাগ্নেবোঁ, মাসীর দল, পিসির সবাই যখন মেনে চলে-ভয় করে । আমার ইস্কুলের পড়াটা শেষ হয়ে গেলে বাঁচি, এদের হাত থেকে উদ্ধার পেয়ে অন্য কোথাও //াই তা’হলে। বিনের মা সকালে আমাকে ডেকে বললে, জিতু, তুমি যখন ইস্কুলে যাও, ভুবনকেও নিয়ে না ? ওর লেখাপডা তো হ’ল না কিছু, আমি মাসে মাসে আট আনা মাইনে দিতে }, জিজ্ঞেস করে এসে তো ইস্কুলে, তাতে হয়। কিনা ? আমি বললাম-দেবেন কাকীমা, ওতেই হয়ে যাবে, ওর তো নিচু ক্লাসের পত্তা, আট |ায় খুব হবে। ভুবনের মা আঁচল থেকে একটা আধুলি বের ক’রে আমায় দিতে গেল । বললে|ালে নিয়ে রেখে অ্যাও, আর আজ ভাত খাওয়ার সময়ে ভুবনকেও ডেকে খেতে বসিও। আমার কথা শোনে না।--তুমি একবার ইস্কুলে ভুলিয়ে-ভালিয়ে নিয়ে গিসে ভিত্তি ক’রে । ভািবপবী থেকে ভয়ে ভয়ে আপনি যাবে। মাথার ওপর কেউ নেই, বেজায় বেয়াড়া হয়ে }চ দিন দিন । তার পর আমার হাত দুখান খপ ক’রে ধরে ফেলে মিনতির সুরে বললে, এই উব গানটুিকু bাকে করতে হবে বাবা জিতু-আমার কেউ নেই, কাউকে বলতে পারি নে, বোঁ মানুষ, না হয় পুড়েচে, কিন্তু কি ব’লে যার-তার সঙ্গে কথা কই বলে তো বাবা ? ক’লো }; डूबनहक वृदिम । এই ভুবনের মা এ বাড়িতে কি রকমে ঢুকলো, মারি মুখে সে কথা আমি শুনেচি। এই ই ওর বাড়ি । ওর এক সতীন আছে, স্বামী মারা যাওয়ার পরে সম্পত্তির অৰ্দ্ধেক পাছে দখল করতে না পেরে ওঠে, এই ভয়ে জ্যাঠামশায়ের নামে বুঝি লেখাপড়া দেয়। কথা থাকে, এরা ওদের দুজনকে চিরকাল খেতে পরতে দেবে। কিন্তু এ বাড়িতে র মা আছে চাকরানীরও অধম হয়ে। রাঁধুনীকে রাঁধুনী, চাকরানীকে চাকরানী ; আর Aম্বাও সবাই মিলে করে ওকে। অwবনের মা হয়েছে। এ সংসারে অমঙ্গলের খার্মোমিটার। অর্থাৎ মদল যখন আসে, তখন i 参