পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

kারপর কি যে ঘটল আমি তা জানি না। জান হলে দেখি মা। আমার মাথা কোলে নিয়ে বসে কাদচোন। আমি দালানেই শুয়ে আছি। চারিপাশে বাডির অনেক মেয়ে জড় হয়েচে, সবাই বললে আমার মৃগীরোগ আছে । বলাম হয়ত হবে, একেই বোধ হয় মৃগীরোগ বলে। আমার বড় ভয় হ’ল, বাবা মারা পাগল হয়ে, এ-বাড়ির অনেকের মুখে শুনেছি। আমরাও পাগল হ’তে পারি। তার L BDBD DDB BBB DZE DD DBDBBDSS সে-সন্ধ্যার কথা কখনও ভুলব না। জীবনে এত ভয় আমার কোনদিন হয়নি---এই ভবে ভয় হ’ল যে আমার সত্যিই কোন কঠিন রোগ হয়েচে । কিন্তু কাউকে বলবার উপায় নেই রোগটা কি । মৃগীরোগই হয়ত হয়েচে, নয়তো বাবার মত পাগলই হয়ে যাব হয়ত-না, কি হবে । ষে রাত্রে বাবা পাগল হয়ে গিয়ে বালিশেব তুলো ছিডে ঘরাময় ছডিযে দিলেন, কেরোসিনের টোেমর মিটমিটে অস্পষ্ট আলোয় রাতদুপুরে তঁর সেই অদ্ভুত সারা গায়ে, মুখে, মাথায় তুলোমাখা মুক্তি বার বার মনে আসতে লাগল-আমার মনে সে-দ্রাত্রি, সে-মূৰ্ত্তি চিরদিনের জন্য আঁকা হয়ে আছে। ঐ রকম কি আমারও হবে ! মাকে আঁকড়ে ধরে শুয়ে রইলাম। সারাৱাত। মনে মনে কতবার আকুল আগ্রহে প্ৰাৰ্থ ব'ঙ্গে লাম-প্ৰভু যীশু, তুমি দেবতা, তুমি আমাব এ রোগ সারিয়ে দাও, আমায় পাগল হ’তোেল, rs T1 i vajatia žf5fe! সকালে একটু বেলায় রোদ উঠলে পানী মাৱা গেল। জ্যাঠাইমা সকালে উঠে বৌদের কুটনো ফুটবার উপদেশ দেবেন, কি কি রান্না হবে তা ঠিক ক’রে দেবেন-এ বাডিতে ভাগ্নে-বেী ছাড়া কেউ গাই দুইতে পারে না-এদিকের কাজ সেবে জ্যাঠাইমা তাকে সঙ্গে নিয়ে গোয়ালে নিজের চোখের সামনে দুধ দোয়াবেন--সীতা 5, পাছে ভাগ্নে-বোঁ নিজের ছেলেমেয়েদের জন্যে কিছু সরিয়ে রাখে বোধ হয় এই ভযে। তারপর তিনি স্নান ক’রে গরদের কাপড প’রে ঠাকুরঘরে ঢুকবেন-সেখানে আহ্নিক চলবে বেলা এগারোটা পৰ্য্যন্ত, সে-সময়ে ঠাকুরঘবের দোরে কারুর গিয়ে উকি দেবাব পৰ্য্যন্ত হুকুম নেহ। সবাই বলে জ্যাঠাইমা বড় পুণ্যবতী। পুণ্যবতীই তো! একদিন যে-ছবি দেখেছিলাম, লনি কোনদিন। জ্যাঠাইমা ঠাকুরঘর থেকে বার হয়ে এসে বারান্দায় দাডিয়েচেন, পরনে স্বদের শাড়ী, কপালে সিঁদুর, চন্দনের টিপ, টকটকে চেহারা-এমন সময় আমার মা একরাশ বালি কাপড় নিয়ে গোবরছড়ার বালতি হাতে পুকুরের ঘাটে যাচ্চেন, পরনের ময়লা কাপড়ের Fায়গায় কাদা গোবরের ছাপ, রুক্ষ চুল ; বেলা বারোটার কম নয় ; সকাল থেকে মারি মুখে

  • S