পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। সে অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে, এখানে একটা ঘর ভাড়া করে থাকে, বামুনে বাৰে। নক দূরের পাড়াগাঁয়ে তার বাড়ি, সেখানে লেখাপড়া শেখার কোনো স্বৰিষে নেই, তাই এক গুৰু বাপ-মা এই গায়ে পাঠিয়েচে । কিন্তু লেখাপড়ার দিকে বনমালীর মন নেই, সে সার উঠোনে এক তুলসীচারা পুতে বাধিয়েচে, দিনরাত জপ করে, একবেলা খায়, মাছমাংস ছোয় না, শ্ৰীকৃষ্ণ নাম তার সামনে উচ্চারণ করবার জো নেই, তা হ’লেই তার চোখ দিয়ে জল পড়বে । রাত্রে জপোৱা ব্যাঘাত হয় ব’লে বিকেলবেলা স্কুল থেকে গিয়ে খেয়েন্বেয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বামুন ঠাকুরকে ছুটি দেয়। --তার পর বসে ব’সে অনেক রাত পৰ্যন্ত জপ করে, হরিনাম করে। সে সময় কেউ কাছে গেলে সে ভারি চটে। অদ্ভুত ধরনের ছেলে ব’লে তাকে সকলে ভাৱি খেপায়-স্কুলের ছেলেরা তার সামনে ‘কিষ্ট” “কিষ্ট’ ব’লে টেচায় তার চােখে জল বেরোয় কি না দেখবার জন্যে, ওই নিয়ে মাস্টারেরা পৰ্যন্ত খিচুনি দিতে বাকী রাখে মা। সেদিন তো এ্যালজেব্রার আঁক না পারার দরুন আমাদের সামনে সেকেণ্ড মাস্টার ওকে বললে-তুমি তো শুনিচি কেষ্ট নাম অনলে কেঁদে ফেল-ত যাও, পয়সা আছে DBBS D DBDDDGS DBKBD GELS BKKLEDS YBD LLLL LLDBY C SqTSBB BD BB DD বাপু । আমি একদিন বনমালীর কাছে সন্ধ্যার সময় গিয়েছি। ও তখন একটা টুলের ওপর ব’লে একমনে দেওয়ালের দিকে চেয়ে বোধ হয়। জপ করচে-আমায় দেখে উঠে দোর খুলে দিলে, হেসে বসতে বললে। ওকে অদ্ভুত মনে হয়, সেজন্যেই দেখা করতে গিয়েছিলাম যে তা নয়। -আমার মনে হয়েছিল ও যে-রকম ছেলে, ও বোধ হয় আমার নিজের ব্যাপারগুলোর একটা মীমাংসা ক’রে দিতে পারবে। তা ছাড়া ওকে আমার ভাল লাগে খুব, ওকে ভাল মানুষ পেয়ে সবাই খেপায়, অথচ ও প্ৰতিবাদ করে না, অনেক সময় বোকো না ষে তারা খোপাচ্ছে, এর্কে আমার বড় মায়া হয় ওর ওপর । বনমালীকে জিজ্ঞেস করলাম। সে কিছু দেখে কিনা । সে আমার কথা বুঝতে পারলে না, বললে-কি দেখবো ? তাকে বুঝিয়ে বললাম। না,-সে। কিছু দেখে না। তারপর একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। ঘরে একখানা ছবি ছিল, আমি সেদিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বললাম-ওখানা কি তোমার ঠাকুরের ছবি ? বনমালীর গলার সুর বদলে গেল, চোখের চাউনি অন্য রকম হয়ে গেল। সে বললেঠিক বলেচ ভাই, আমার ঠাকুরের ছবি, চমৎকার কথা বলেচ ভাই-ওই তো আমার সব আমার ঠাকুর শুধু কেন, তোমার ঠাকুর সবারই ঠাকুর বলতে বলতে দৱ দীর করে তার চোখে জল পড়তে লাগল। we-arr