পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি কিছু না বলে বইখানা আমার গুটুলিতে বেঁধে নিলাম। দাদা ততক্ষণে তোরঙ্গ হাতড়ে আর একখানা ছোট ছেলেদের গল্পের বই বার ক’রে বললে--আর এই ভাখ একখানা বই, ভারি মজার মজার গল্প-আমি খেয়েদেয়ে রোজ একটুখানি করে পড়ি-খোড়া শিকারী'র গল্পটা পড়ছিলাম, পড় দেখি শুনি ? এ-সব গল্প ইংরিজিতে কতবার পডেচি, আমার কাছে এর নতুনত্ব নেই কোথাও। তবুও দাদাকে পড়ে পড়ে শোনাতে লাগলাম, দাদা মাঝে মাঝে খিচুড়ীতে কাঠি দিয়ে দেখে, আর হাঁটু দুটাে দু-হাতে জড়িয়ে একটুখানি পেছনে হেলান দিয়ে ব’সে আমার মুখের দিকে আগ্রহের সঙ্গে চেয়ে চেয়ে শোনে। আমার এমন কষ্ট হ’ল ! এ-সব গল্প যে ইংরিজি স্কুলের নীচের ক্লাসের ছেলেরাও জানে । আহা, দাদা বড় অভাগা, অল্প বয়সে সংসারের চাপ ঘাড়ে পড়ে मांसासौदन। ७व्र भछे श्श cशव । টাকার কথাটা দাদাকে বলতে মন চাইল না । ওর কত কষ্টে রোজগার করা পয়সা, BDD S DBB BBBS BBDB DJSALtLDBDS DDD DDB DB BYYiLBS D DDBD রোজগার কোথা থেকে দেবে ও ? শৈলদির টাকা আমি এর পরে যে ক’রে হয় শোধ 6gद । দাদা নিজেই বললে-বাড়ি যাবি তো জিতু, গোটা দশেক টাকা নিয়ে যা। আমার বড় ইচ্ছে সীতাকে একছড়া হার গড়িয়ে দিই-কিন্তু টাকাই জমে না হাতে । তোর টাকার যদি দরকার থাকে, তবে আলাদা-করা হারের জন্তে কুড়িটা টাকা তোলা আছে-তাই থেকে নিয়ে যা, দেবো এখন । হার এর পর দেখব।--সাত-পাঁচ ভেবে টাকা নেওয়াই ঠিক করলাম। শৈলদির ওপর বড় জুলুম করা হয়, নইলে শৈলদিকে মনে হয় না যে সে পাৱ । এত আপনার মত ক’জন আপনার লোকই বা দেখে ? মায়ের পরেই শৈলদিকে ভক্তি করি। সে লুকিয়ে টাকা দিয়েচে-তাকে আর বিপন্ন ক’রবো না । যে দাদা সকাল আটটার কমে বিছানা থেকে উঠতি না, তাকে ভোৱ পাচটার সময় উঠে কারখানায় গিয়ে কাজে লাগতে হয় । আমিও দাদার সঙ্গে গেলাম । কারখানার মালিকের নাম মতিলাল দাস, বয়েস পঞ্চাশের ওপর, তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী আছে সংসারে, আর দ্বিতীয় পক্ষের ছেলেমেয়ে। দাদা মতিলালের তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীকে মাসীমা ব’লে ডাকে । মতিলাল আমায় দেখে বললে-তুমি নিতাই ঠাকুরের ভাই ? বেশ, বেশ । আজকাল কি বই পড়ায় cGfNfL f তার প্রশ্ন শুনে আমার হাসি পেল। আমি জবাব দেবার আগেই মতিলাল বললেআমাদের সময়ে ষে-সৰ্প বই পড়ানো হ’ত, আজকাল কি আয় সে-সব বই আছে ? এই ধৰ্ম 9uritá, vyšly vsf?, viktí3 l vtfej ! ra