পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুজগৃষ্ঠানুহজদেহ উষ্ট্রসারি সারি কি আশ্চৰ্য্য শোভাময় ঘাই বলিহারি কি সব শব্দ লাগিয়েচে দেখোঁচ একবার ? ভাষার জ্ঞান হ’ত কত পড়লে ! বলে দিকি ফ্ল্যজদেহ মানে কি ? আমাদের হরিশ পণ্ডিত পড়াত কালনার স্কুলে, আমি তখন ছাত্রবৃত্তি পড়ি। তখন ছাত্রবৃত্তি পড়লে মোক্তার হ’ত, দারোগা হ’ত। এখন হয়েচে তো সব ছেলেখেলা ৷ আমি এসেছি শুনে মতিলালের স্ত্রী দুপুরে খেতে বললে । আমায় দেখে বললে-এস বাবা, তুমি নিতাইয়ের ভাই ? তুমিও মাসীমা ব’লে ডেকে । কাছে দাড়িয়ে থেকে মাসিীমা দাদাকে রান্না দেখিয়ে দিতে লাগল, কারণ আমরা খেতে চাইলেও ওরা রোধে আমাদের খেতে দেবে কেন ? মাসীমা সংসারে নিতান্ত একা। মতিলালের ও-পক্ষের ছেলেমেয়েরা বাপের তৃতীয় পক্ষের পরিবারকে দু-চোখ পেড়ে দেখতে পারে না, বা এখানে থাকেও না কেউ । অথচ মাস্টীমার ইচ্ছে তাদের নিয়ে মিলেমিশে সংসার করা। আমরা খেতে বসলে কত দুঃখ করতে ब्र%क् । -এই দ্যাখো বাবা, কেষ্টকে বলি বোমাকে নিয়ে এখানে এস, এসে দিব্যি থাক। বৌমাটি বন্ড চমৎকার হয়েচে । তা যদি আসে! সেই নিয়ে রেখেচে শ্বশুরবাড়ি, কালনার কাছে ইহাট-সেখানেই থাকে। আমার নিজের পেটে তো হ’ল না কিছু, ওরাই আমার সব-তা মুখো হয় না কেউ । বড় মেয়ে দুটি শ্বশুরবাড়ি আছে, আনতে পাঠালে বলে, সৎমায়ের Iাৱ অত আত্যি সুয়ো দেখাতে হবে না । শোন কথা। আমায় মা বলে কেউ ডাকেও না । कgछ डitद्ध भीन क्षदि । মাসীমাকে খুশী করবার জন্যে আমি কারণে-আকারণে খুব ‘মাসীমা” “মাসীমা” বলে ডাকতে |াগলাম। আমাদের পাতে আবার মা সীমা খেতে বসলেন, বললেন- ব্ৰাহ্মণের পেরসাদ दि, अउ कि अद्धि cछां दफू अiछ बांदा । আমার মনে অস্বস্তি হ’ল ; আমি তো এদের এসব মানিনে, ব্ৰাহ্মণেৱ ধৰ্ম্ম পালন করিনে, স কথা তো ইনি জানেন না। অথচ খুলে বললে মাসীমার মনে কষ্ট দেওয়া হবে হয়ত । দাদার কাছ থেকে আটঘরায় এলাম। আসবার সময় সীতার জন্যে ভাল সাবান কিনে নিয়ে এলাম, বই পড়তে ভালবাসে ব’লে দু-তিনখানা বাংলা বইও আনলাম। সীতা বড় হয়ে ঠেচে-মাথায় খুব লম্বা হয়েছে, দেখতে স্বাক্ষর হয়েচে আরও ৷ আমার হাত থেকে সাবান নিয়ে হেলে বললে-দেখি দাদা কেমন সাবানাessআমার একনাও আন্ত সাবান ছিল না। একখানা সানলাইট সাবান আনিয়েছিলুম। বাজার থেকে-সে