পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

কিন্তু আপনি আসিয়া পড়ায় বলা হইল না। যাই হোক,—এই বেগমের কক্ষে প্রবেশ করিয়া আমাকে আজ যতটা অপমানিত হইতে হইয়াছে, তাহাই বোধ হয়, জনাবের এক সময়ের এই আদরিণী বাহারবানুর পক্ষে যথেষ্ট! তবে এই অপমানের প্রতিশোধের জমা খরচ, একদিন সুবিধা মত আপনার সঙ্গেই হইবে।”

 সুজাবেগ বাহারবানুকে আর বেশী কিছু বলিবার অবসর না দিয়া ও তাহাকে পশ্চাৎবর্ত্তী হইতে ইঙ্গিত পূর্ণ সংকেত করিয়া, সেই কক্ষ ত্যাগ করিলেন। বাহারও ক্ষিপ্রগতিতে তাঁহার অনুসরণ করিল। প্রকারান্তরে সে দিন বাহারবানুরই জিত হইল। সে যে কথাটা আনারউন্নিসাকে শুনাইবার উপযুক্ত অবসর অপেক্ষা করিতেছিল, সুজাখাঁ সহসা সেই কক্ষ মধ্যে উপস্থিত হইয়া, তাঁহার সেই বক্র অবসর পথকে সরল করিয়া দিলেন।

 আনার বুঝিল—যে স্বামীকে সে তাহার জীবনের যাহা কিছু প্রিয়, সব দিয়া ভাল বাসিয়াছে—তাহার সেই স্বামীর উপর এই শয়তানীর খুবই বেশী আধিপত্য। যে স্বামীর অতীত জীবনের, কলঙ্ককাহিনীর কথাগুলি সে চেষ্টা করিয়া ভুলিতেছিল এই সর্ব্বনাশিনী কলঙ্কিনী বাহারবানু এক তীব্র ফুৎকারে তাহা জ্বালাইয়া দিয়া চলিয়া গেল।

১১৩