প্রভাতে উঠিয়া সে সেই সুযোগেরই অপেক্ষা করিতেছিল। এমন সময়ে তাহার পিতা আসিয়া তাহার কক্ষে দেখা দিলেন।
আনারকে সম্বোধন করিয়া তাঁহার পিতা বলিলেন—“তোমার মুখ অত শুখ্নো কেন মা? তোমার কাল রাত্রে কি ভাল নিদ্রা হয় নাই?”
আনারউন্নিসা একটু মলিন হাস্যের সহিত বলিল—“সত্যই বাবা তাই! কাল আমার নিদ্রার বড়ই ব্যাঘাত হইয়াছিল।”
“কেন?”
“এক রত্নহারের জন্য?”
“রত্নহারের জন্য! আমাদের বাড়ীতে এক সময়ে রত্নহার দু দশ ছ’ড়া ছিল বটে! তখন ভাবনাও ছিল বটে। কিন্তু এখন ত সে গুলি নাই! তবে কি তুমি স্বপ্নে রত্নহার দেখিলে নাকি?
“স্বপ্ন নয় বাবা! প্রত্যক্ষ সত্য! সে রত্নহার আপনাকে এখনই আনিয়া দেখাইতেছি!”
“আগে বল—কোথায় পাইলে তুমি সেই হার?”
“নবাব সুজা খাঁ দিয়াছেন।”
“তেমাকে?”
“হাঁ—আমাকে?”
কথাটা শুনিয়া বয়োবৃদ্ধ জামাল খাঁ, ভ্রুকুটী ভঙ্গী করিযা সন্দিগ্ধস্বরে বলিলেন—“কারণ?”
আনারউন্নিসা গম্ভীর মুখে বলিল “কারণ—কিছুই জানি
১০