পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

নরকের তীব্র পূতিগন্ধ বাহির হইতেছিল। রাশিকৃত গুলাবগুচ্ছ এক স্ফাটিকময় ফুলদানীর উপরে ছিল। সে গুলাবের গন্ধও যেন অতি উগ্র।

 সুজা বেগ—ব্যাকুল হৃদয়ে—অস্ফুট স্বরে সহসা চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিলেন—“হায়! আজ আমি আমার সর্বস্ব হারাইয়া, পথের ভিখারী হইলাম। আজ হইতেই আমার নবাবী লীলা শেষ হইল।”

ষোড়শ পরিচ্ছেদ।

 পরদিন প্রভাতে উঠিয়াই, আনার বেগম তাঁহার প্রিয়সঙ্গিনী জুমেলিকে প্রশ্ন করিলেন—“নবাব সাহেব কাল বাড়ীতে ফিরিয়া আসিয়াছেন কি?”

 জুমেলি বলিল—“হাঁ।— তখন রাত্রি বোধ হয় একটা বাজিয়া গিয়াছে।

 আনার। বড়ই বেয়াদব তুই। আমায় ডাকিস্ নি কেন? আমি ত তোকে বলেছিলুম—যত রাত্রেই তিনি আসুন না কেন, আমায় জাগিয়ে দিবি!

 জুমেলি। তার অবসর পেলুম কই বেগম?

 আনার। অবসর না পাবার কারণ?

 জুমেলি। খোদ নবাব সাহেবের নিষেধ!

১৩৮