পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

 প্রাণের উচ্ছ্বাসে, লতিফ আজ অনেক কথা বলিয়া ফেলিয়াছিল। এতটা প্রাণ খুলিয়া, সে আর কখনও তাহার মনের কথা আনারউন্নিসাকে বলে নাই, বা বলিবার কোন অবসর পায় নাই।

 আর কিছু না বলিয়া লতিফ দ্রুতবেগে সেই কক্ষ ত্যাগ করিল। আর তাহার জাগ্রত আবেগময় প্রাণের কথাগুলি, আনারের কাণে তখনও যেন অতি তীব্র ঝঙ্কারের সহিতপ্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল।


পঞ্চম পরিচ্ছেদ।

 উল্লিখিত ঘটনার পর একমাস কাটিয়া গিয়াছে। এর মধ্যে নবাব সুজাবেগের বাড়ীতেও একটী মহা দুর্ঘটনা ঘটিয়া গিয়াছে। সেটি তাঁহার জননী রুকিনা বেগমের আকস্মিক মৃত্যু!

 জামাল থাঁ.—অর্থাৎ আনার উন্নিসার স্নেনময় পিতা কন্যার এই বিবাহ সম্বন্ধে বিবেচনা করিবার জন্য একমাস সময় লইয়াছিলেন। সেই সময় উত্তীর্ণ হইয়া গেলেও, যখন নবাব সুজাবেগ এ সম্বন্ধে তাঁহাকে আর কোন জরুর তাগিদ দিলেন না, তখন জামাল খাঁ মনে মনে ভাবিলেন,— “হয়তো—রুকিনা বিবির মৃত্যুর সহিত, বিবাহ ব্যাপারটা এই খানেই খতম হইয়া গেল।”

২৭