খুবই ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল। তবে তিনি, প্রকাশে পূর্ব্ববৎ খুব একটা আনুরক্তি ও সোহাগের ভাব দেখাইয়া, অন্তরে সর্ব্বদাই ভাবিতেন, কিসে এই সর্ব্বনাশিনী ছলনাময়ী বাহারবানুর কবল হইতে মুক্ত হওয়া যায়। সেই গুপ্ত পত্রগুলি আদায় করা যায়।
মানুষ যে কাজে বাধা পায়, সে কাজ সিদ্ধ করিতে সে প্রাণপণে চেষ্টা করে। নবাব সুজা বেগ বড়ই নির্ব্বন্ধবান লোক। নানাদিক দিয়া ভাবিয়া চিন্তিয়া, তিনি স্থির করিলেন—“পবিত্র দাম্পত্য জীবনের সূচনা না করিতে পারিলে, এ মহাপাপের প্রলোভন হইতে মুক্তি পাইবার কোন সম্ভাবনাই নাই।”
এই সব ভাবিয়াই, তিনি আনার উন্নিসার পিতা জামাল খাঁকে এই দীর্ঘকাল পরে আর একখানি পত্র লিখিয়া ছিলেন। সে পত্রে আনার উন্নিসার সহিত তাঁহার বিবাহ কার্য্যটা যাহাতে শীঘ্র হইয়া যায়, সে সম্বন্ধে এক নির্ব্বন্ধ পূর্ণ অনুরোধ ছিল।
কিন্তু ইতিমধ্যে এমন একটী ব্যাপার ঘটিল, যাহার সম্বন্ধে আনারের পিতা বা মীর লতিফ্ কেহই কোন কথা জানিতে পারিলেন না।
৫৫