মধ্যে, সম্রাট্পুত্র দারার অশ্বটী ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া উঠে। সুলতান দারা শেকো, অনেক চেষ্টা করিয়াও অশ্বকে সংযত করিতে পারেন নাই। এই সময়ে এই মীর লতিফ নিজের জীবন বিপন্ন করিয়া শাহাজাদার প্রাণ রক্ষা করে। আর ইহার ফলেই, সে এই শাহাজাদা দারা শেকোর সুপারিসে, সেই একশতী মন্সবদারের পদ লাভ করে।
বাদশাহের শরীর রক্ষী সেনাদলে প্রবেশ করার পর মীর লতিফ, তাহার পিতৃপ্রতিম জামাল খাঁর আশ্রয় ত্যাগ করিয়া বাদশাহী নিয়মানুযায়ী, ছাউনীতে আসিয়া বাস করিতে লাগিল।
তাহা হইলেও, সুযোগ পাইলেই সে আনার উন্নিসার সহিত দেখা সাক্ষাৎ করিত। বহুক্ষণ থাকিয়া তাহার সঙ্গে গল্পগুজব করিত। তারপর নিজের ছাউনীতে চলিয়া আসিত।
বাল্যকাল হইতে এক সঙ্গে খেলাধূলা ও বসবাস করার জন্য আনার ও মীরলতিফের মধ্যে বড়ই একটা প্রীতির ও স্নেহের বাঁধন পড়িয়াছিল। এইজন্য আনার কোথাও যখন মীর লতিফের গুণের প্রশংসা শুনিত, সে তখন আনন্দে অধীরা হইয়া উঠিত। আবার আনারউন্নিসার রূপের ও গুণের প্রশংসা লতিফের কাণে আসিলে, তাহার প্রাণটি যেন একটা আনন্দময় গর্ব্বে স্ফীত হইয়া পড়ত।
আনারউন্নিসার মাতা যখন জীবিতা ছিলেন, তখন তিনি প্রায়ই তাঁহার স্বামীকে বলিতেন—“এই মীরলতিফকে আমি
৬৬