পাতা:দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ - চণ্ডীচরণ সেন.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ ।

আপনাকে ছাড়িয়া আমি এক মুহূর্তও স্থানান্তরে থাকিতে পারিবনা। আপনাকে আর স্বপ্তুর বলিয়া! মনে হয় না। মাতার নিকট কল্ঠা! যেমন অকপটে মনের সকল ভাব ব্যক্ত করে আমি আপনার নিকট সেইরূপ মনের সকল কথা বলিতেছি। আপনি আমার স্বপ্তর নহেন, আমার পিত| নহেন আপনি আমার মা ।”

  • বাছা! ! তুমি কার/গারে যাইবে ইহ! কি আমার সহ হয়? পুত্রশোক

হইতেও তোমার অপমানে আমার হৃদয় শতপ্ুণে দগ্ধ করিবে। তুমি এই - মুহূর্তেই বৃদ্ধাকে সঙ্গে করিয় পলায়ন কর ।”

“এখন আর আমাদের মান অপমানের ভয় কি ? এখন আর আমাদের লোক লক্জারই বা ভয় কি? আমাদের বিষয় সম্পত্তি, মান সম্ভম সকলই গিয়াছে। এখন যদি কোন ভয় থাকে সে কেবল ধর্ম ভয় । ধর্ম যাহাতে রক্ষা হয় তাহারই চেষ্টা করিব। ঈশ্বরের চক্ষে নির্দোধী হইলেই হইল। আমাদের যেরূপ অবস্থা তাহাতে লোক লজ্জার ভয় মনে স্থান দিবার কোন প্রয়োজন নাই। আপনাকে আদ ধৃত করিলে আমি নিশ্চয়ই আপনার সঙ্গে সঙ্গে কারাগারে প্রবেশ করিব ।”

“বাছা! আমার সঙ্গে যদি তোমাকেও ধরিয়। লইয়া যায়, তবে তোমাকে ত আমার নিকট থাকিতে দিবে না। তোমাকে যদি কয়েদ রাখে, তবে স্থানান্তরে রাখিবে। কিন্তু তোমাকে ধরিতে প।রিলে দেবীসিংহ নিশ্চয়ই তোমাকে কোন কামাসক্ত ইংরাজের নিকট প্রেরণ করিবে। দেবীসিংহ অনেকানেক কামাপক্ত ইংরাজের অঙন্গ্রহ ক্রয় করিবার জন্য ভদ্র কুলমহিলা- দিগকে ধৃত করিয়া, তাহাদেোা সিকট পাঠাইয়া দেয়। আর এক মুহূর্তও বিলম্ব না কারয়| বৃন্ধাদাদী এবং মামার এই বিশ্বস্ত প্রজা! দছুইটাকে সঙ্গে করিয়| এস্থান ইইতে পলায়ন করিয়। কানীধামে চলিয়া! বাও ।

যুবতী তখন বুঝতে পারিলেন যে, বৃদ্ধের মঙ্গে সঙ্গে গেলেও তাঁহার নিকট থাকিতে পারিবেন না। তথন.নিরাশ হইয়া অধোবদনে অশ্রুবিসজ্জন করিতে লাগিলেন। কিছুকাল পরে, বাষ্পাবরুদ্ধক্ষণ্টে বলিতে লাগিলেন,--

“সহমৃতা৷ হওরাই আমার পক্ষে উচিত ছিল । আপনার পুত্রের সকল

কথাই এখন ঠিক হইল । তখন আপনি কিছু বুঝিতে পারিলেন না, আর আস্মি.তো অস্ঞান-স্জ্রীলোক--আমি সে সকল কথার মন্ম তপনও বিছু বুঝিতে পাারতান না, এখনও কিছু বুঝিতে পারিনা ।”