পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । সরোজা । তা হ’লে চলবে কেন ? সইতে হয় ; “ষে সয়, সেই রয় ” সরল । আচ্ছা, সরোজ, আমি সইব ; একটি কথাও কইবন ; দেখি, তোর মত ভালবাসা পাই কিনা ! নারায়ণ, লক্ষীরূপিণী সরোজার কথা শ্রবণ করিয়া, যার পর নাই আহলাদিত হইলেন । র্তাহার সর্বাঙ্গ পুলকিত হইল । নয়ন যুগল হইতে আনন্দাশ্র বিগলিত হইতে লাগিল ! অনন্তর’ তিনি চিন্তা করিতে লাগিলেন, “আজ আমার কি সৌভাগ্য যে, এমন রমণী-রত্ন দর্শন করিলাম ! যে দেশের অধিকাংশ রমণী, বস্ত্ৰালঙ্কারের জন্য স্বামীর কণ্টক-রূপিণী ; যাহারা গৃহে অর্থসঙ্কট স্বষ্টি করিয়া, স্বামীর কষ্ট-বৰ্দ্ধনেও বিমুখী নহেন ; স্বামীর মুখ-দুঃখে চিন্তা-শূন্ত, কেবল আত্ম-সুখ-পরায়ণা, সেই হতভাগ্য দেশে, সরোজার ন্যায় পুত্র-বধূ এখনও বিদ্যমান আছে! আহা ! যে স্ত্রী, স্বামীর মুখে সুখী এবং দুঃখে দুংখী, তিনিই প্রশংসনীয়া ; তিনিই প্রকৃত সহধৰ্ম্মিণী ; তিনিই প্রকৃত গুহ-লক্ষী ; আর যে ভাগ্যবান পুরুষ, এরূপ রমণী-রত্বের অধিকারী, তিনিই ধন্ত ! ংসারের দুর্গম-পথে, তাহার আর অন্য সহ যাত্রীর প্রয়োজন কি ? ভারতীয় ললনাগণ ! তোমরা জানন যে, তোমাদের দেশে কি দুদিন উপস্থিত ! তোমাদের স্বামিগণ, অন্ন-চিন্তা-চমৎকারে হতাশ ও হতবুদ্ধি হইয়াছেন ! এই বিপৎকালে তোমরা সহায় ন হইলে, অচিরেই তাহারা কালগ্রাসে পতিত হইবেন । মা ! তোমরা এক্ষণে সম্মোহন বেশ পরিত্যাগ করিয়া, শান্তিময়ী মূৰ্ত্তি ఫిఫె