দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । স্বামীর ভালবাসা পাওয়া যায়, তিনি সচ্চরিত্র ও শিক্ষিত হন, তাতেই সুখ । সরোজা পুনরায় বলিল, “দিদি ! তুই জানিস্নে ; শরতের মনে বড় দুঃখ ; আমি শুনেছি, ওর স্বামীর স্বভাব বডড খারাপ ; চব্বিশ ঘণ্টা মদের নেশায় বিভোর থাকেন ; শরতের সহিত বড় দেখা সাক্ষাৎ হয় না ; তিনি খেমটাওয়ালিদের সঙ্গে আমোদ আহলাদে সময় কাটান। যদি মনে সুখ না থাকে, তবে দালানবালাখানায় কি করবে ? আর হীরা জহরতেই বা কি করবে ?” : সরলা । তাই ত সরোজ, তবে ত শরতের বড় দুঃখ ! আহা ! এমন মেয়ে, তার স্বামীর স্বভাব নাকি মন্দ ! দেখ, সরোজ, দেশের পুরুষ গুল যেন ক্ষেপে উঠেছে | আজকাল খাটি মানুষ পাওয়া ভাব । আমাদের কপালে যে কি আছে, তাহারই বা ঠিক কি ? শরৎ । তার নিন্দ করিস নে ; নারায়ণ র্তাহাকে সুপথে আনয়ন করুন, এই প্রার্থনা কর। নারায়ণ শরতের দুঃখে দুঃখিত হইয়া, ভাবিতে লাগিলেন ;– “হায় রেণু এদেশের লোক সকল নিতান্ত অবোধ ; উহাদের সূক্ষদর্শিত কিছু মাত্র নাই। বরের মানসিক উন্নতির প্রতি কেহই দৃষ্টিপাত করে না ; বর উপাৰ্জ্জন-ক্ষম অথবা, সঙ্গতি-পন্ন হইলেই, কন্যার পিতা মনে করেন, “কম্বা” সুপাত্রে সমর্পিত হইল ! কিন্তু সেটি ভ্রম ; বরের শিক্ষা ও অর্থ-সঙ্গতি বিশেষ প্রয়োজনীয় বটে, কিন্তু বর-সম্বন্ধে অন্যান্য বিষয় দেখার ' * :
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।