দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । একটিবার পদার্পণ করে নাই, তাহারাও ছায়ার স্যায় কর্তৃপক্ষীয়গণের অনুগমন করিতে লাগিল ! কত শু্যালকশ্রেণীস্থ নন্দদুলালী বিলাস-দাসের আবির্ভাব হইল ! এই সকল আলালের ঘরের দুলালের, চাটুয্যে মহাশয়দের পুত্ৰগণের মস্তক চর্বিণ করিতে লাগিল । আজ যেখানে পর্ণকুটার, কা’ল সে স্থানে সুরম্য প্রাসাদ ! কত গোষ্পদ, দুস্তর বারিধিরূপে পরিণত হয় ! কত অতলস্পর্শ সাগরবক্ষে শত যোজন-ব্যাপী দ্বীপের স্বষ্টি হয় ! “ভাঙ্গা-গড়া” কাৰ্য্যে বিধাতা বড়ই নিপুণ । জগতের এই অলঙ্ঘনীয় নিয়মানুসারে, আমাদের চাটুয্যে মহাশয়দের অবস্থার ও পরিবর্তনের লক্ষণ প্রকাশ পাইতে লাগিল । ভাগ্য-দেবীর চঞ্চলত দোষ চির-প্রসিদ্ধ ; কোন দুলক্ষ্য সূত্র অবলম্বন করিয়া, কখন কোন উন্নত পরিবারকে পরিত্যাগ করেন, তাহ কে বলিতে পারে ? কালীনাথ বাবুই এই পরিবারের মেরুদণ্ড ; তিনিই যাবতীয় উন্নতির মূল, ইহা দেখিয়া, তাহার গৃহিণী মহামায়ার হিংস জন্মিল। মহামায়া নিতান্ত মুখরা ও স্বার্থ পরায়ণা ; কালীনাথ বাবু সময় সময় উৎকোচস্বরূপ কিছু কিছু প্রদান করিয়া, এপর্য্যন্ত তাহাকে প্রশমিত রাখিয়াছিলেন ! মহামায়া, ভিন্ন হওয়ার প্রস্তাব অনেকবার করিয়াছিল, কিন্তু কালীনাথ বাবু স্পষ্টরূপে তাহা প্রত্যাখ্যান করেন । এক্ষণে মহামায়া দেখিল, তাহার মাত্র দুটি. ছেলে ; রাধানাথের ছেলে দুটি ও মেয়ে দুটি ; দুর্গানাথের ছেলে চারিটি ও মেয়ে দুটি । এই সকল পঙ্গপালকে ఫి
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।