দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । স্বামীর উপার্জিত অর্থে পোষণ করা, তাহার পক্ষে বড়ই কষ্টদায়ক ; ছেলেদের লেখাপড়া ও কন্যাগণের বিবাহ বহুব্যয়-সাপেক্ষ । সে ভাবিল, এই সময় পৃথকভাবে থাকিলে, অনেক অর্থ-রক্ষা হয় । সে দুর্গানাথকে সময় সময় গালিবর্ষণ করিত। দুর্গানাথের স্ত্রী যোগমায়ার প্রতিও তাহার দুর্ব্যবহারের অভাব রহিল না। রাধানাথের স্ত্রী শৈলজায়ার স্বভাবও ভাল ছিল না ; সেও যোগমায়াকে কষ্ট দিতে ক্রটি করিল না । যোগমায় অসাধারণ বুদ্ধিমতী ; তাহার সহিষ্ণুতাও প্রশংসনীয় ; সে যাবতীয় অত্যাচার ও উৎপীড়ন নীরবে সহ করিতে লাগিল । সংসারের যাবতীয় কার্য যোগমায়া করিত ; মহামায়া ও শৈলজায়া কেবল পান-সাজ ও বেশ-বিন্যাস-পটু ছিল । কোন ও বিষয়ে যোগমায়ার ক্রটি দেখিলে, তাহাদের মুখে ঝড় বহিত ; তাহার যোগমায়ার প্রতি অশ্রাব্য ও অকথ্য গালিবর্ষণ করিত। যোগমায়। নীরবে ক্রন্দন করিত, আর ভগবানকে ডাকিত—“দয়াময়, এ হতভাগিনীর প্রতি কি একবার ফিরে চাইলে না ?” ভগবান তাহার, নীরব ক্ৰন্দন শুনিতেন ; তিনি নিশ্চিন্ত ছিলেন না ; যোগমায়ার ভাবি সুখের পথ প্রশস্ত করিতেছিলেন। সরল প্রাণের কাতর প্রার্থনায়, ভগবান कि স্থির থাকিতে পারেন । জগতের সর্লব ত্র সমতারক্ষণে বিধাতা বিশেষ যত্নবান । যাহার ধন আছে, তাহার জন নাই ; আবার যাহার জন আছে, তাহার ধনের অভাব । যাহার ইচ্ছা আছে, তাহার সামর্থ্য নাই ; \రి
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।