দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । ছিলেন বটে, কিন্তু তাহদের বিষয়-বুদ্ধি একেবারেই ছিল না। দুর্গানাথ নিতান্ত বিচক্ষণ লোক ছিলেন ; তাহার বুদ্ধি-কৌশলেই চাটুয্যে মহাশয়দের এরূপ উন্নতি স্বদেশের শ্ৰীবৃদ্ধি-সাধন ও সামাজিক সন্ত্রম-লাভে, তাহার বিশেষ যত্ব ছিল । তিনিই গ্রাম্য বিদ্যালয় ও দাতব্য-চিকিৎসালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই অনাথ-নিবাস স্থাপনের মূল। তাহারই যত্বে হরপল্লী গ্রামে “জ্ঞান-দায়িনী” সভা স্থাপিত হইয়াছিল । তিনি ভ্রাতৃগণের উপাঞ্জিত অর্থের একটি পয়সাও অপব্যয় করিতেন না । চাটুয্যে পরিবারের নিতান্ত দুর্ভাগ্য যে, তাহার এরূপ লোকের মূল্য বুঝিল না। & আজ ছুদিন হইল, কালীনাথ বাবু কযেক মাসের ছুটি লইয়া, বাটী আসিয়াছেন। মহামায়, ইহাই তাহার অভীষ্ট-সিদ্ধির উপযুক্ত সময় মনে করিল। কালীনাথের পথশ্রম কিয়ৎ পরিমাণে দূর হইল। তিনি রাত্রিকালে প্রফুল্লমনে মহামায়ার গৃহে শয়ন করিতে গেলেন। নারায়ণও, সেই সময়, অদৃশ্যভাবে সেই গৃহে উপস্থিত হইয়া, তাহদের কথোপকথন শ্রবণ করিতে লাগিলেন । মহামায়া বলিতে লাগিল, “দেখ ভোলানাথ ! শেষ কালটি একবার ভাব ত ? আমি যে তোমাকে পুনঃ পুনঃ বলছি, তুমি আমার কথায় কাণ দিচ্ছ না ; এই পঙ্গপালের ভরণ-পোষণে যে টাকা নষ্ট কচ্ছ, পরে টের পাবে ; ভারন কি ? তোমার ছোট ভাইটি কম নন ; তুমি হাজার হাজার টাকা পাঠাচ্ছ, তা দিয়ে, তিনি ছোট বধূর গহনা তৈয়ের কচ্ছেন। >)●
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।