পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । তুমি জান কি, তিনি ছোট বউএর নামে, পাঁচ হাজার টাকা লগ্নী করেছেন ; আর তুমি বিশ্বাস করবে না,– শ্বশুরের দেশে আর পাঁচ হাজার টাকার তালুক কিনেছেন ! তোমার টাকার দ্বারা বড় মানুষ হ’য়েছেন, আবার দিব রাত্রি তোমারই নিন্দা ক’রে বেড়া’ন । তারপর চরিত্র, সেকথা ব’লে আর কাজ নাই ! এই কথা শুনিয়া, ভোলানাথের আসন টলিল । তিনি মনের দৃঢ়ত আর রক্ষা করিতে না পারিয়া বলিলেন, “মহামায়া, তুমিই আমার প্রকৃত হিতৈষিণী ; তাই ত, দুর্গানাথ যে এমন লোক, । তাহা ত স্বপ্নেও কখন ভাবি নাই ! পাচ হাজার টাকা লগ্নী ! শ্বশুরের দেশে সম্পত্তি ! কি ! এতদূর স্বাৰ্থ-পরতা ! এতদূর নীচাশয়তা ! এ বড়ই ঘৃণার কথা ! এ বড়ই আশ্চর্য্যের বিষয় ? মহামায়া, তুমি যাহা বলছ, সব ঠিক ; আমি এতদিন স্নেহে অন্ধ ছিলেম ; তুমি আমাকে চক্ষু দিলে ! যা হ’ক মহমায়া, তুমি আমাকে ভাল বুদ্ধি দিয়েছ ; কালই পৃথক হওয়ার প্রস্তাব করব ; সকলেই আপন বুঝ, বুঝে, আমি না বুঝিব কেন ! নারায়ণ, এই সকল কথা শ্রবণে, নিতান্ত মৰ্ম্মাহত হইলেন এবং অধোবদনে ভাবিতে লাগিলেন, হায়রে । এবার এই সোণার সংসার ছারখার হইতে চলিল ! ভ্রাতৃ-স্নেহের মধুর প্রভাব বিলুপ্ত হইল ! হায়! এক্ষণে একতার বল বিচ্ছিন্ন হইবে । শক্রগণের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইবে । শান্তিময় গৃহে অশান্তির বীজ রোপিত হইবে । হায় ! শয্যা-গুরুর উপদেশ যে এরূপ মোহময়, তাহ জানিতাম না ! ভ্রাতৃ-স্নেহের সুদৃঢ় >> *