পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। নারায়ণ বলিলেন, “আহা ! কি মধুর ! কি মধুর। গাও, আর একটি গান গাও ; তোমার মুখের হরিনাম বড়ই মধুর।” অনন্তর নারদ বীণা বাজাইতে বাজাইতে গাইতে লাগিলেন – দেখা দে রে ব্রজ-মোহন, তুই শ্ৰীকৃষ্ণ ! জীবনের জীবন । , তুই বিনে রে কালশশি । বন হয়েছে, শ্ৰীবৃন্দাবন। সেথা কোকিল-ময়ূর, শারি-শুকে, দিবা রাত্রি করে রোদন। তোর পিতা নন্দ, কেঁদে অন্ধ, ঝরে সদাই, দুটি নয়ন । চরে না অরণ্যে তোমার, শ্যামলি ধবলি গোধন । তারা তোমার তরে, রেখেছে রে, কানাই, বেণুরব শুনিতে, শ্রবণ ! নীলাকাশে ডেকে বলে, কোলে আয়, বাপ, নীল-রতন । “অন্তৰ্য্যামী” নামটি, তুমি, কৃষ্ণরে! ক’রেছ ধারণ ; একবার ভক্তের দশা, দেখ রে হরি ; ভক্ত-বৎসল, শ্ৰীমধুসূদন । গণেশের গান শ্রবণ করিয়া, নারায়ণ, বহু কষ্টে মনের দুঃখ চাপিয়া রাখিয়া ছিলেন, কিন্তু, নারদের মুখে আবার সেই. বৃন্দাবনের দুর্দশার কথা শুনিয়, আর স্থির থাকিতে পারিলেন না ; তাহার নয়ন যুগল হইতে অনর্গল অশ্র নির্গত হইতে লাগিল ; তিনি দুৰ্বহ দুঃখ-ভারে অভিভূত হইয়া পড়িলেন। নারদ ও গণেশ প্রভুর এই অবস্থা দর্শনে হতবুদ্ধি হইয়া, কাতর ভাবে “হরি বোল” “হরি বোল” ধ্বনি করিতে লাগিলেন । এদিকে দেবালয়ের সেবকগণও ভক্তি-রসে আপ্লত হয়, শ্ৰীহরিগুণগানে বিভোর হইয়া পড়িল । অনন্তর কিছু জলযোগ গ্রহণ করিয়া, দেবগণ শয়ন করিলেন ఫిఖ3 家