দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । স্নেহ-মমতা, ধৰ্ম্ম-ভয়-ভক্তি, রমণীকুলেই অধিকতর পরিলক্ষিত হয়। প্রভু, দেশের এ দুৰ্দ্দিনেও, আমরা হতাশার অতলগর্ভে ডুবিয়া যাইতে যাইতে যে, ঘন-ঘটাচ্ছন্ন আকাশ-মণ্ডলে ক্ষীণকর দিবাকরের কিরণের ন্যায়, আশার আলোক স্থানে স্থানে দর্শন করিতেছি, ইহাই আমাদের পরম সৌভাগ্য । ইহাই আমাদের পরম লাভ । নারায়ণ বলিলেন, “বৎস! তুমি যথার্থ কথাই বলিয়াছ ; বিরল-দৃশ্য সাধু-পুরুষ ও সাধবী-সীমস্তিনীর পুণ্য-প্রভাবেই, এ দেশের অস্তিত্ব এ পর্য্যন্ত বিদ্যমান । রহিয়াছে ; এখনও ধৰ্ম্মের জয় ও অধৰ্ম্মের ক্ষয় এবং সত্যের আদর ও মিথ্যা-বিদ্বেষ পরিলক্ষিত হইতেছে। যখন দেখিবে, এই সকল দেব-প্রতিম নর-নারী ইহলোকে নাই, তখনই জানিবে, এ দেশের অন্তিমকাল উপস্থিত ; তখন দেখিবে, ন্যায়-সত্য একেবারে বিলুপ্ত হইয়াছে, মানবগণ দেবদ্বেষী, স্ত্রী-পতিঘাতিনী, শিষ্যগণ গুরুঘাতী ও পণ্ডিতগণ অবমানিত এবং পাষণ্ডগণ সম্মানিত । বৎস ! সেই ভয়ঙ্কর দিন এখনও উপস্থিত হয় নাই ; এখনও রোগ চিকিৎসাধীন ; ভারতসন্তানগণ কৰ্ম্ম-বল ও জ্ঞান-বল লাভ করিলে, এখনও পূর্ব গৌরব লাভে সমর্থ হইতে পারে। সে দিন আবার আসিবে কি ? আবার আমরা মায়ের ক্রোড়ে লীলা-বিলায় করিতে পারিব কি ?” । 33, 受 গণেশ বলিলেন, “প্রভু, আমি, গ্রাম্য দেবতা সম্বন্ধে একটি কবিতা পাঠ করিতেছি, অনুগ্রহ করিয়া শ্রবণ করুন।” \రి}
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।