দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । হরনাথ কিছু আশ্বস্ত হইল ; গৃহে গৃহে গমন পূর্বক অনুনয় করিয়া বলিল, “আমরা নিরপরাধ ; রাধানাথ হিন্দুধৰ্ম্মে বিশেষ আস্থাবান ; সে কখনও ব্রাহ্মের সঙ্গে আহার-বিহার করে না ; গোপী বাবু তাহাকে সাহায্য করেন ; সে হিন্দু হোটেলে আহার করে। রায় মহাশয়ের বাটতে বিকাল বেলা বৈঠক হইবে ; আপনার অনুগ্রহ করিয়া তথায় উপস্থিত হইবেন ।” যথাসময়ে ব্রাহ্মণমণ্ডলী সমবেত হইলেন। হরনাথ বলিল, “আমরা নিরপরাধ ; ক্ষমা করুন ; রাধানাথের সম্বন্ধে যাহা শুনিয়াছেন, তাহ সম্পূর্ণ অমূলক ; দয়া করিয়া আমাদের মাতৃশ্রীদ্ধে আহারের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করুন।” কালীনাথ মুখুয্যে মহাশয় নিতান্ত ভাল মানুষ ; তিনি সরলভাবে বলিলেন, “তোমার বাটতে নিমন্ত্রণ গ্রহণ না করার কোনও } কারণ, আমি ত দেখি না ; দুর্গানাথ চাটুয্যে ও নীলকান্ত ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ও সেই কথাই বলিলেন । রায় মহাশয় গগনভেদি-স্বরে বলিতে লাগিলেন, “আমি একবার দেখব, কে কে হরনাথের বাটতে যায় ; দুই শত টাকা না পাইলে, আমরা কেহই যাইব না ।” রামনাথ, শামসুন্দর, শিবানন্দ, রামকান্ত প্রভৃতি গ্রাম্য দেবগণও, রায় মহাশয়ের কথাই অনুমোদন করিল। হরনাথ নিতান্ত নিরীহ প্রকৃতির লোক, কোন প্রতিবাদ না করিয়া, একান্ত বিনীত ভাবে বলিল, “আমার অবস্থা সেরূপ নয় যে, আমি কিছু দিতে পারি ; আমায় ক্ষমা করুন।” যোগেশ ও রমেশ নামক দুটি শিক্ষিত ও সৎসাহসী যুবক তথায় উপস্থিত > ○。
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।