দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। সাধনেই, তাহাদের আত্মার তৃপ্তি জন্মে। হরনাথের অনিষ্টসাধনে, রায় মহাশয়ের কি লাভ ? কিছুই নয়। এটি উহার হিংস্র প্রকৃতির পরিচয় মাত্র। এই দুৰ্বত্তের আকার মনুষ্মের, কিন্তু প্রকৃতি, রীতি-নীতি সবই দানবের ন্যায়। পরানিষ্ট-সাধনেই যাহাদের আত্মার তৃপ্তি, সেই সকল পাষণ্ডকে সমাজ হইতে বহিস্কৃত করিয়া দিতে বন্ধ-পরিকর হওয়া, সর্বসাধারণের একান্ত কৰ্ত্তব্য । - কিয়ৎকাল এইরূপ চিন্তার পর, নারায়ণ রায় মহাশয়ের কাৰ্য্য-কলাপ অলক্ষ্যভাবে দর্শন করিতে লাগিলেন । একদিন রায় মহাশয় বাজারে গেলেন । ছমির সেক বড় একটি ভীড়ে ” করিয়া দুধ আনিয়াছিল। রায় মহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেক্টঃ “ছমির, ভীড়ে ক’সের দুধ আছে ?” ছমির উত্তর করিল, , “পাচ সের ” রায়ু মহাশয় । মূল্য কত হবে ? ছমির। আজ্ঞে, ছ পয়সা সের। রায় মহাশয়। পাঁচ সের চা’র আনা পাবি। ছমির রায় মহাশয়, তা কিরূপে দিব ? অন্ততঃ ছ আন৷ পয়সা দিন । “বেটা, কিসের ছ আনা, চা’র আনা পাবি,” এই বলিয়৷ রায় মহাশয়, নিজের কলসীতে দুধ ঢালিতে চেষ্টা করিলেন ; ছমির তাহাতে বাধা দিল ; পরে দু’জনের ঝগড়া আরম্ভ হইল । রায় মহাশয় ছমিরের হস্ত হইতে দুধের ভাড় কাড়িয়া লইতে 8*
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।