দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । তপ, যজ্ঞ, আর নাই ! সে মানুষ নাই, সে মনুষ্যত্ব নাই ! সে স্বামী নাই, সে স্ত্রা নাই ! সেরূপ ভয়-ভক্তি, (क्षङ-भभङ যেন, চিরকালের জন্য বিদায় গ্রহণ করিয়াছে ! গৃহস্থ অন্নহীন । চারিদিকে অভাবের অনল ধৃ ধূ করিয়া জ্বলিতেছে ; হায় ! সে দেশ আর নাই ! সে এক অভিনব দেশ ! সেখানে সব অভিনব । পুরুষ অভিনব, স্ত্রী অভিনব ! প্রকৃতি অভিনব, হৃদয় অভিনব ! মানবের নের সে বল নাই ! সুকুতির সে সৌরভ নাই ! সে প্রেম নাই, প্রীতি নাই ! সে দয়া নাই, দক্ষিণ নাই ! সে সাহস নাই, বিক্রম নাই ! সেরূপ শাস্ত্ৰাধ্যয়ন ও অধ্যাপন এবং হরিনাম কাৰ্বন ও প্রেমা শ্র-বিসর্জন, কিছুই নাই ! আর সে মহস্নিগণের “মহাশ্রম” নাই ! পতিত-পাবন জাহ্নবী-তট আর সে সুমধুর সাম-গানধ্বনিতে, প্রতিধ্বনিত হয় না ! বৎস! এখনও, নীরব নিভৃতস্থানে, কতিপয় মহাপ্রাণ, দানহীনের ন্যায়, অব স্থিতি করিতেছেন বটে, কিন্তু, তাহারাই বা আর কতদিন ! “ভগবন : রক্ষা কর, রক্ষা কর,” তাহাদের এবম্বিধ আৰ্ত্তনাদ শ্রবণে, আমি অধিকতর অস্থির হইয়া পড়িয়াছি । সংস, আমি সেই অভিনব ভারত-দর্শনে যাইব ; আমার মৃত-কল্প ভক্তদিগকে আশ্বাস প্রদান করিব ; নর-নারীহৃদয়ের বিচিত্ৰ ভাব পরীক্ষা করিব ; দেখিব, সেই পুণ্যভূমিভারতে, ‘ঋষি-মাহায্যের পুনরভু্যদয়ের কোনও সম্ভাবনা আছে কিনা ; দেখিব, ভক্তি-প্রীতি, সত্য-সরলতা ও দয়া-ধৰ্ম্ম, পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে কি না” । নারায়ণের এরূপ অস্থিরতা দর্শনে ও দুঃখ-কাহিনী-শ্রবণে, নিতান্ত ব্যপিত হইয়া, নারদ ૨.
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।