পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । এ সব পাগলের পাগলামি বলিয়া উপেক্ষা করিলেও, গ্রাম্য দেবগণ সকলেই অপ্রকাশ মৰ্ম্মান্তিক যাতনানুভব করিল ; তৎপরে দুঃখিতমনে ও অধোবদনে তাহার স্বস্ব গৃহে প্রস্থান করিল ! পাগলিনীও এই সময় অদৃশ্য হইল। নারায়ণ পুনরায় চিন্তা করিতে লাগিলেন, “হায় । ভারতের কি শোচনীয় পরিণাম । বর্তমান ভারত-সন্তানগণের কি নীচাশয়তা ! হৃদয়ের কি দুর্বলতা ! বোধ হয়, শ্রমবিমুখতাই, এরূপ পর শ্ৰী-কাতরতার মূল ! পণ্ডিতগণ বলেন ;— উৎসাহ সম্পন্নম দীর্ঘ সূত্রং ক্রিয়াবিধিজ্ঞং ব্যসনেম্বক্তম, শূরং কৃতজ্ঞং দৃঢ় সৌহৃদঞ্চ লক্ষীঃ স্বয়ং যাতি নিবাস হেতোঃ। যে ব্যক্তি উদ্যোগ বিশিষ্ট, অচির-ক্রিয়, কৰ্ম্মকা গুজ্ঞ, ব্যসন রহিত, বীর, কৃতজ্ঞ ও অনেকের মিত্র, এমন লোকের নিকট বাস করণার্থ, লক্ষী আপন হইতেই গমন করেন । বাস্তবিক পরিশ্রমী ও উদ্যমশীল পুরুষগণ ভাগ্যদেবীর কোমলাঙ্কে চিরবিরাজ করেন ; তদর্শনে, অলস ও অবোধ লোকের কাতরতার সার্থকতা কি ? যাহার যেমন সাধনা, তাহার তেমন শাস্তি। একের সৌভাগ্য-দর্শনে অন্যের চক্ষুঃপীড়ার প্রয়োজনীয়তা কি ? সময়োচিত শ্রম করিলে ত সকলেই সৌভাগ্যবান হইতে পারে ? হায়! যাহারা ঈশ্বরভক্তি, সহিষ্ণুতা, উদ্যম ও অধ্যবসায় ব্যতীত, সুখ-সম্পদ অভিলাষ করে,

  • @ 8