দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন । ১ । চতুষ্পাঠী ও ব্রাহ্মণ পণ্ডিত । নারায়ণ, পণ্ডিত-সমাজ ও চতুষ্পাঠী সমূহের দুর্দশ দর্শন করিয়া মৰ্ম্মাহত হইলেন ; তাহার নয়ন-যুগল হইতে বাষ্প-বারি বিগলিত হইতে লাগিল ; অনন্তর কিছু সুস্থ হইয়া ভাবিতে লাগিলেন,—হায় । সে চতুষ্পাঠীও নাই, সেরূপ পণ্ডিতও নাই ; যে স্থানে বেদ, বেদান্ত, দর্শন, স্মৃতি, সাহিত্য, ব্যাকরণ, ও জ্যোতিষের পূর্ণ শিক্ষা হইত, কালক্রমে, পল্লবগ্রাহিতা সেই স্থান অধিকার করিয়াছে । এক্ষণে পণ্ডিতগণ কোন শাস্ত্রের পাঁচ পৃষ্ঠা, কোন শাস্ত্রের সাত পৃষ্ঠা অধ্যয়ন করিয়া, তীর্থ চুঞ্চ প্রভৃতি নব নব উপাধিতে ভূষিত হইতেছেন। পূর্বকালে এক একজন লোক এক একটি শাস্ত্র-অধ্যয়ন-কল্পে অধিকাংশ জীবন যাপন করিতেন, এক্ষণে পাচ সাত বৎসরের মধ্যেই, সেই সকল শাস্ত্রে পণ্ডিত হন । হায় । জ্ঞান-পিপাসা আর নাই, এক্ষণে জ্ঞানলাভ অর্থকরী ও ব্যবসাদারী হইয়। উঠিয়াছে। বুদ্ধিমান বালক রাজ-ভাষা শিক্ষা করে, আর অপেক্ষাকৃত অবোধ বালকগণই, সাধারণতঃ এই দিকে প্রেরিত হয়। সমাজের রীত্যমুসারেই মনুষ্য গঠিত হয়। শাস্ত্র সমূহের এতাদৃশী অবমাননা সম্বন্ধে পণ্ডিতগণ দোষী নহেন, সমস্ত দোষই সমাজের ; এক্ষণে সমাজ অন্ধ ; পণ্ডিত-সমাজের প্রতি श्रट्नरकहे नृष्टिशैन । - পুৰ্ব্বকালে রাজগণ পণ্ডিতগণের পোষক ছিলেন ; তাহার
- ४३