পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । ভালবাসি ; সরলপ্রাণের কাতর কথায়, আমার প্রাণ, কঁাদিয়া উঠে ; তোমরা ব্যাকুল ন হইলে, তোমাদের বাক্য আমার কর্ণে প্রবেশ করে না । মানব, আমাকে চাহিলে, অামাতে তন্ময় হও,—লোক-দেখান উপাসনা পরিত্যাগ কর । ৩ । গো-জাতি । নারায়ণ দেখিলেন, গাভী আর এখন মাতৃবং পূজনীয়া । নহেন"; মাতৃরূপিণী গাভীকে এক্ষণে নিদাঘের প্রখরতাপে ভূমিকৰ্ষণ করিতে হয়। উপযুক্ত আহারও তাহার ভাগ্যে ঘটে না ! কাজেই মা,অমৃতময় দুগ্ধপ্রদানে বিমুখ। দিন দিন গো-চারণভূমি পৰ্য্যন্ত, শস্য-ক্ষেত্রে পরিণত হইতেছে, তথাপি দুর্ভিক্ষের প্রকোপের হ্রাস হইতেছে না । গো-জাতির অধঃপতনে ভারত সন্তানগণ দিন দিন হীন-বল ও অল্পায়ু হইতেছে ; ভূমি উপযুক্ত পরিমাণে কৰ্ষিত না হওয়ায়, শস্য-ক্ষেত্র আশানুরূপ শস্যপ্রদানে অক্ষম ; শস্যের অভাবে দুর্ভিক্ষ সৰ্ব্বত্র বিরাজমান। এই সকল চিত্র দর্শন করিয়া, নারায়ণ ভাবিতে লাগিলেন, হায় ! গোজাতির অবস্থা উন্নত হইলে, এদেশের দুর্ভিক্ষ বহুল পরিমাণে নিবারিত হইতে পারে ; রুগ্ন ভারতসন্তানগণ সুস্থ ও সবল হইতে পারে এবং তাহাদের প্রতিভারও পুর্ণ বিকাশ হইতে পারে । সুস্থ দেহই সুস্থ মনের আধার। রুগ্ন লোকদ্বারা কখনও জগতের কোন হিত-সাধন হয় না । হায় । মা ! তোমার সন্তানগণ ১৬৭