দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । আহলাদিত হইয়া, গণেশ বলিতে লাগিলেন,—“পিতঃ, যখন আমি মহামুনি ব্যাস-কথিত “মহাভারত" লিখিবার নিমিস্ত,ভারতে আহুত হইয়াছিলাম, সেই সময় হইতেই, সেই পুণ্যভূমির প্রতি, আমার আন্তরিক অনুরাগ । হায়! সে দেশের দুর্গতির সংবাদ শ্রবণ করিয়া, আমি আর আশ্র-সম্বরণ করিতে পারিতেছি না । পিতঃ আশীৰ্ব্বাদ করুন,—আমি যেন ভারতের মঙ্গল-সাধন, আর, প্রভুর প্রীতি-লাভ করিতে সমর্থ হই”। অনন্তর, তিনি জননীকে সম্বোধন-পূর্বক বলিলেন, “মা ; আমাকে যাইতে অনুমতি দাও ;–তুমি ও মা নিশ্চিন্ত থাকি ও ন',-– অন্নপূর্ণ রূপে ভারতের প্রতিশৃঙ্গে বিরাজ কর; অন্নাভাব দূরীভূত ন হইলে, কোনক্রমেই, আমাদের উদেশ্ব সিদ্ধ হইবে না ; কারণ, উপদেশ ত দূরের কথা, সুললিত বাণ-ধ্বনিও, বুভূক্ষুর কর্ণকুহরে বিষবৎ প্রতায়মান হয় । মাতঃ, কমলা আর বাণা-পাণি ও যেন, কৃপা-পরায়ণ হন । আমার সাবসিদ্ধি-দা তানামে যেন কলঙ্ক না রটে ’ গণপতির এরূপ কাতরোক্তি শ্রবণান্তর, দেবী উত্তর করিলেন, “যাও, বংস ! কোন ও চিস্ত করি ও না ; নারায়ণের আদেশ অম্লান-বদনে প্রতিপালন করিও । র্যাহার ইঙ্গিতে শতসহস্ৰ ব্ৰহ্মাণ্ডের প্রকাশ ও লয় হয়, তাহার কৃপা হইলে, ভারতে, “ঋষি-মাহায্যের পুনরভু্যদয়”, একটি সামান্য বিষয় । ভারত যেমন তোমার প্রিয়, আমার ও, তেমনি প্রিয় । ভারত-সন্তানগণের অধোগতির ংবাদ শ্রবণ করিয়া, আমি ও, মৰ্ম্মান্তিক যাতন অনুভব 8
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।