পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८ङ्गदर्णप्वंद्र चछिमद जङ्गज्र-ए-नि ! একবার ঋণজালে আবদ্ধ হইলে, আর জীবনে মুক্তিলাভের আশা থাকে না । উত্তমণগণ, সমস্ত বৎসর, অকাতরে কৃষকপরিবারের যাবতীয় খরচ বহন করে, অবশেষে নিতান্তু নিৰ্ম্মমের ন্যায়, তাহাদের নিকট হইতে, মাসিক শতকরা অনূ্যন দশ টাকা স্বদ সহ সমস্ত টাকা আদায় করে। উত্তমণের ঋণশোধ আর ভূম্যধিকারীর রাজস্ব-প্রদান করিতেই, নিরীহ কৃষককুলের বহু শ্রমাজ্জিত অর্থ একেবারে নিঃশেষিত হয় ; তাহার পুনরায় অর্থ-সঙ্কটে নিপতিত হয় ; তখন পুনঃ ঋণগ্রহণ ভিন্ন অন্তোপায় থাকে না । এইরূপে অধিকাংশ কৃষকের সমস্ত জীবন কেবল “খণ-শোধ” আর “রাজস্ব-প্রদান” এই দুইটি কাৰ্য্যেই অতিবাহিত হয় ; তাহাদের অবস্থার উন্নতিসাধন কিছুমাত্র হয় না। সম্প্রতি পাট-বিক্রয় দ্বারা অনেক কৃষক লাভবান ও ধনবান হইতেছে বটে, কিন্তু তাহ সমগ্র কৃষকসম্প্রদায়ের অভাবের তুলনায়, জাতীয় উন্নতি বলিয়া গণ্য হওয়ার যোগ্য নহে। পাটের ব্যবসায় দ্বারা এককালীন কিছু টাকা হস্তগত হওয়ায়, অধিকাংশ কৃষকই, শিক্ষার অভাবে, বিলাস-পরায়ণ, অমিতব্যয়ী ও মোকদ্দমা-প্রিয় হইতেছে এবং এতদ্বারা উকীল, মোক্তার ও উত্তমর্ণগণের উদর-পরিপূরণেরই বরং অধিকতর সুবিধা হইতেছে। এই সকল হৃদয়-বিদারক দৃশ্য দর্শন করিয়া, নারায়ণ ভাবিতে লাগিলেন, হায় । এদেশের কি শোচনীয় পরিণাম । যাহাদের হস্তে সমস্ত জাতির জীবন নির্ভর করিতেছে, যাহাদের সামান্ত ক্রটিতে, দেশে হাহাকার রব פטיכי