দেবগণেয় অভিনর ভারত-দর্শন । প্রেমের অরতার ; কিন্তু, হায় ! তাহার অধিকাংশ বৈষ্ণব ওবৈষ্ণবীর হৃদয়ে প্রেমের কণিকামাত্রও দৃষ্ট হয় না ! নিতান্ত উচ্ছঙ্খল জীবনকে মহাপ্রভুর পবিত্র নামের আবরণে আচ্ছাদিত রাখার সার্থকতা কি ? যত কুলাঙ্গার ও কুলটা এই সম্প্রদায়ে আশ্রয় লয় । রামচন্দ্র মণ্ডলের বিধবা কন্যা ছশচরিত্র হইল ; সে অনন্তোপায় হইয়া, তাহাকে বৈষ্ণব সম্প্রদায়-ভুক্ত করিল। পরে সেই বৈষ্ণবী, সবলকায় এক বৈষ্ণব লাভ করিয়া, পরমসুখে বাস করিতে লাগিল । , কেহ, এক্ষণে আর তাঁহাকে দুশ্চরিত্র বলিতে পারিবে না। সে, “বৈষ্ণবী-ঠাকুরুণ” এই নব উপাধিতে ভূষিত হইল। এই নবীন বৈষ্ণব ও বৈষ্ণবী, একটি নিমন্ত্রণ দিল ; তদবধি বৈষ্ণব-সমাজে তাহাদের বেশ মর্য্যাদা বৃদ্ধি পাইল । হায় ! এই সম্প্রদায়, এক্ষণে পতিতপাবন হইয়। উঠিয়াছে। ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম নিম্প্রয়োজন ; আত্ম-শাসন নিম্প্রয়োজন । “শ্ৰীকৃষ্ণ চৈতন্ত” এই শব্দোচ্চারণ করিয়া, গৃহীর দ্বারে উপস্থিত হইলেই অন্ন মিলে ! হায় ! কাল-মাহাত্ম্যে সব হইতে পারে। মহাপ্রভুর পবিত্র উদ্দেশ্য যে, এইরূপ শোচনীয় পরিণাম প্রাপ্ত হইবে, তাহা কখনও ত ভাবি নাই। হায় ! বারবণিতাগণ পৰ্য্যন্তও, “বৈষ্ণবী” উপাধি ধারণ করিয়াছে , ইহাপেক্ষা ধৰ্ম্মের অধঃপতন, অধিক আর কি হইতে পারে। এই সকল পিশাচ ও পিশাচী কি ধৰ্ম্ম-সমাজের অন্ততুত হওয়ার যোগ্য । হায় । উহার মহাপ্রভুর পবিত্র নামের আবরণে লুকায়িত לף כי
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।