পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । হইতেন। কুলীনের পুত্র যে কুলীন হইবে, এরূপ কোন বিধান ছিল না ; কিন্তু হায় ! “কুলীন” আখ্যা, এক্ষণে ব্যক্তিগত না হইয়া, বংশ-গত হইয়া পড়িয়াছে। কুলীনগণ এক্ষণে, প্রায়ই কু-লীন হইয়াছেন। আজকাল “কুলীন” হইতে হইলে নয়টি গুণের একটিও আবশ্যক হয় না। অন্য জাতীয় কুলীনাপেক্ষা, কুলীন ব্রাহ্মণগণের অধঃপতনই অধিকতর শোচনীয়। বহুবিবাহ তাহাদের প্রধান কাৰ্য্য, কেহ কেহ পঞ্চাশ, ধাট কি সত্তরটি পর্য্যন্ত বিবাহ করে ! এক স্বামীর অভাব হইলেই বহুকষ্ঠে হাহাকার ধ্বনি উখিত হয় ; বহু রমণী বিধবা হন । কি ভয়ানক দৃপ্ত ! হায় ! বিবাহের মৰ্ম্ম উহার কেহই বুঝিতে পারে না। “সুন্দরী বা দরী বা”, সুন্দরী হউক, কি পৰ্ব্বতের গুহার স্যায় কুরূপ হউক, একটিমাত্র বিবাহ শাস্ত্র-সম্মত ; কিন্তু, হায়! এরূপ বহু বিবাহের প্রয়োজনীয়ত, আমারও বৃদ্ধির অতীত ! হায় রে । তাহারা অনেকেই, বিবাহকে একটি ব্যবসায় বলিয়া মনে করে । গৃহে খাদ্যের অভাব ; কুলীন মহাশয় একটি বিবাহ করিয়া, কিছু অর্থ সংগ্ৰহ করিলেন ; তাহাতেই সংসার কিছুদিন চলিল ; আবার অর্থ-সঙ্কট উপস্থিত হইল ;. পুনরায় আর একটি বিবাহ করিয়া, তাহা হইতে মুক্তিলাভ করিলেন । সমাজের রীত্যনুসারে তাহারা পত্নীর ভয়ণ-পোষণের জন্য দায়ী নহে! ধন্য সমাজ ! ধন্য ইহার ধুরন্ধরগণ ! এ অভিনব ব্যবস্থা, এই অভিনব দেশ ভিন্ন, আর কোথায় সম্ভবে ? হায়! আজ বল্লাল জীবিত নাই; তিনি জীবিত থাকিলে, כיר צ