দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন । আর তাহার অন্তরের হাসি পরিদৃষ্ট হয় না। “পতি রমণীর গতি,” সেই পতিই যখন বিমুখ, তখন তাহার মনের যাতন। বুঝিবার লোক সংসারে আর নাই। সহিষ্ণুতার প্রতিমূৰ্ত্তিকুলীনকুমারী, ভ্রাতা ও ভ্রাতৃবধু কর্তৃক লাঞ্ছিতা ও অপমানিত হইতেছেন, যেন, তাহারা সমাজের কেহই নহেন, যেন অসহায় তৃণ-দলের ন্যায় ভাসিয়া আসিয়াছেন ! হায় ! এ দৃশু, এ হৃদয়-বিদারক দৃশু, আর দর্শন করিতে পারি না ! আমার মনের আগুন দ্বিগুণ জ্বলিয়া উঠিয়াছে, আমি হতজ্ঞান হইয়াছি ! সমাজপতি ! একবার এদিকে দৃষ্টিপাত কর ; আমার মৰ্ম্মান্তিক যাতনা বিদূরিত কর। কুলীন-কুমারীদের হাস্যমুখ দর্শনে, আমার হৃদয়ও হাস্যময় হউক । এইরূপ কিয়ৎকাল চিন্তার পর, নারায়ণ ইহাতে পুনঃ মনোনিবেশ করিলেন । হঠাৎ একটি অভাবনীয় ও অভিনব অস্ফুট চিত্র তাহার দৃষ্টি-পথে নিপতিত হইল। তিনি বলিতে লাগিলেন, আহ ! এ কি ! কুলীন-কুমারীর নয়ন-কোণে ঈষৎ হাসির রেখা দেখিতেছি | আত্মা হাস্যময় না হইলে ত চোখের হাসি পরিস্ফুট হয় না। তবে বুঝি, কুলীন ব্রাহ্মণগণ, কুমারীগণের দুঃখে দুঃখিত হইয়াছেন ; তবে বুঝি, বহু বিবাহ পরিত্যাগ করিতে প্রয়াসী হইয়াছেন ; বিবাহের দায়ীত্ব-জ্ঞানও জন্মিয়াছে ; ক্রমে ক্রমে দাম্পত্য-প্রেমের মধুর রসাস্বাদনে, আপনাদিগকে ধন্য মনে করিতেছেন । কিন্তু, মা ! এই সুখকর চিত্র দর্শনেও, আমার হৃদয় আনন্দে 9१७
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।