পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । উৎফুল্ল হইতেছে না, ইহাতেই বুঝিতেছি, অভাগিনী কুলীনকুমারীর অশ্রুবর্ষণ, এখনও একেবারে বিদূরিত হয় নাই ; তবে, পরিবর্তন শুভ ও সুখদায়ক বটে । আহা ! স্বামীকাঙ্গালিনী কুলীন-কুমারী সুখী হউন এবং স্বামীর কোমলাঙ্কে পরম সুখে বিরাজ করুন, ইহাই আমার ঐকান্তিক কামনা । হায়! আমার প্রিয় পুত্র বিদ্যাসাগর আর ‘রাসবিহারী” আজ কোথায় ! বহুবিবাহ-নিবারণকল্পে, র্তাহাদের জীবনব্যাপি-চেষ্টা, এতদিন পরে ফলপ্রসূ হইতেছে । আজ তাহার। জীবিত থাকিলে, কতই না আনন্দের বিষয় হইত ! ৭ । কস্য-বিক্রয় ও কন্যাদয় । এ দেশে কন্যাপণগ্রহণের প্রথা প্রচলিত দেখিয়, নারায়ণ মৰ্ম্মাহত হইলেন। ক্রোধে ও দুঃখে তাহার শরীর কাপিতে লাগিল । অতঃপর কিছু সুস্থ হইয়া, তিনি ভাবিতে লাগিলেন, হায় রে । এই ঘৃণিত প্রথা এ দেশে কিরূপে প্রবর্তিত হইল! এই অদ্ভুত প্রথা ত কখনও কোন মুসভ্য সমাজে . দর্শন করি নাই । কন্যা-বিক্রয়, আর আত্ম-বিক্রয়, একই কথা । কন্যা-বিক্রেতা ঘোর পাষণ্ড ইহার অর্থলোভে সব করিতে পারে —যে অধিক মূল্য দিতে প্রস্তুত হয়, সে অন্ধ, আতুর, নরপিশাচ, কিম্বা সপ্ততিবর্ষীয় বৃদ্ধ হইলেও তাহারই নিকট কন্যা-বিক্রয় করে। “দুহিতৃরত্বং পরকীয়মেব,” কন্যারত্ন পরের সম্পত্তি, সৎপাত্রে সম্প্রদান করিতে » ማለፃ §