দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । হয়, বিক্রয়ের ত কোন বিধান নাই। এই সকল নরপিশাচকে কন্যা-বিক্রয়ের প্রথা কে শিক্ষা দিল ? রামধন চক্রবর্তী তাহার পাঁচটি কন্যা পাচ হাজার টাকায় বিক্রয় করিয়াছে ! এক্ষণে সে একজন তালুকদার। হায়! এরূপ লোক, অর্থ-লোভে, বোধ হয়, স্ত্রীকেও বিক্রয় করিতে পারে । এই সকল পাষণ্ড, যে সমাজে পরম সুখে বাস করে, সেই সমাজের আর কল্যাণ কোথায় ? যে সকল লোক অর্থলোভে, অবলা ও অসহায়া কন্যাগণকে, নরপিশাচগণের হস্তে সমর্পণ করিতে কুষ্ঠিত হয় না, সেই সকল পাষণ্ডকে সমাজ হইতে বহিস্কৃত করা একান্ত কৰ্ত্তব্য । কিয়ৎকাল এইরূপ চিন্তার পর, নারায়ণ এ বিষয়ে পুন: মনোনিবেশ করিলেন । হঠাৎ একটি আশার আলোক, র্তাহার দৃষ্টিপথে নিপতিত হইল। কন্যা-বিক্রেতার আক্ষেপধ্বনিও তাহার কর্ণ-গোচর হইল,—কেহ কেহ বলিল, “আর আমাদের উপায় নাই –এক্ষণে, আর মেয়ের মূল্য নাই, মাটীর দর।" অতঃপর তিনি চিন্তা করিতে লাগিলেন,— মা ! ভারত-ভূমি ! এই পাষণ্ডগণের কাতর শব্দ শ্রবণ করিয়া, আমি সাতিশয় আহলাদিত হইলাম। মা ! তোমার দুহিতৃগণ, সৰ্ব্বত্র সৎপাত্রে বিনাপণে সমপিত হইলে, আমার কতই না আনন্দের বিষয় হয় !" নারায়ণ আবার দেখিলে, সন্ত্রাস্তমানবকুলে পুত্রবান পিতার মুখমণ্ডল হাস্যময় ও আনন্দে উৎফুল্ল এবং কন্যাবান እግw
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।