পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। তাহার। বিলাস ও আত্ম-সুখ-পরায়ণ এবং উদ্ধত ও তুর্বিবনীত । অতঃপর তিনি চিন্তু করিতে লাগিলেন, হায় ! ধৃতি-আদি দশবিধ ধৰ্ম্মের অভাবই, ইহার মুল কারণ। আজকাল অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষিত যুবকও ধৰ্ম্মজ্ঞান-শূন্ত বলিয়া বিবেচিত হয়। হায়! যাহারা সমাজের ভবিষ্যৎ আশাস্থল ও দেশের গৌরব, সেই শিক্ষিত সন্তানগণও যদি উচ্ছ,জ্বল-প্রকৃতি হয়, তবে আর দেশের উন্নতি কিরূপে হইবে । তাহারা লেখাপড়া শিক্ষা করে সত্য, কিন্তু প্রায়ই, “আক্ষরিক বিদ্যা” Knowledge of letters feil, stoftwa প্রকৃত জ্ঞান জন্মে না । পুত্রাপেক্ষ। কন্যাই বরং অধিকতর ভক্তিমতী পরিদৃষ্ট হন । মহাপণ্ডিত চাণক্য এদেশের অবস্থা বুঝিয়াই ব্যবস্থা করিয়াছিলেন । “লালয়েৎ পঞ্চবর্ষাণি দশ বর্ষাণি তাড়য়েৎ প্রাপ্তেতু ষোড়শে বর্ষে পুত্রমিত্র-বদাচরেৎ।" পুত্রকে পাচ বৎসর পর্য্যন্ত লালন পালন করিবে, দশবৎসর পর্য্যন্ত তাড়না করিবে এবং ষোড়শবর্ষ হইলে, পুত্রের সহিত মিত্রের দ্যায় ব্যবহার করিবে । আজকাল বয়ঃপ্রাপ্ত পুত্ৰগণ, প্রায়ই পিতামাতাকে আর ভক্তির চক্ষে দেখে না ; অনেক শিক্ষিত পুত্র পিতাকে old fool আর মাতাকে গুদাম ভাড়া পাইবার যোগ্য বলিয়া মনে করে। >*、