দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। তাহলে, তোমার গিন্নিপন সার্থক হবে । মাগো । আর একটি কথা এই—তেলটুকু, মস্লাটুকু ও কাঠখানি বেশী খরচ হয়েছে ব’লে, সৰ্ব্বদা ঝগড়া ক’র না,—বউদের দোষ দেখলে, মধুর কথায় বুঝিয়ে দিও,” এই কথা বলিয়া, বৃদ্ধ৷ অদৃশ্য হইলেন। সরকার গিন্নী, আপন দোষ হৃদয়ঙ্গম হওয়ায়, অনুতপ্ত হইলেন, এবং ভবিষ্যতে বৃদ্ধার কথা মতই কাৰ্য্য করিবেন, এই ভাবিতে লাগিলেন । ১৩ । দেবসেবা । নারায়ণ, দেব-সেবায় গৃহস্থগণের উদাসীন ভাব দর্শনে, ব্যথিত হইলেন। সেবার সমস্ত কাৰ্য্যই পূজারি-ঠাকুর অথবা কোন বালবিধবার হস্তে ন্যস্ত । সেবা সম্বন্ধীয় যাহা কিছু র্তাহারাই করেন ; গৃহস্বামী প্রায়ই ইহার কোন খোজ খবর রাখেন না । এই দুঃখজনক দৃশ্য দর্শন করিয়া, তিনি চিন্তা করিতে লাগিলেন, “হায় । ব্যাকুলতাবিহীন সেবা নিম্প্রয়োজন। পাখী ছাড়িয়া দিয়া, কেবল পিঞ্জর সাজাইবার সার্থকতা কি ? পুৰ্ব্বপুরুষগণের রীতিরক্ষার্থ, নামমাত্র সেবা, অনেকস্থলেই হয় বটে, কিন্তু, আমি, তাহা প্রায়ই গ্রহণ করি না। গৃহস্বামী জানেন, দেবসেবার জন্য মাসিক পাচ টাকা ব্যয় হয়, পূজারি জানেন, প্রতিদিন পূজা করেন, কিন্তু, আমি জানি, সকলই বিফল হয় । হায় ! এরূপ প্রাণহীন সেবার আবশ্যকতা কি ! আমি চাউল চাহিনী, কলা চাহি
- ケtr