পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। অখণ্ডং মণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম, তৎপদং দর্শিতং যেন, তস্মৈ ীিগুরবে নমঃ । যিনি অখণ্ড মণ্ডলাকার এবং চরাচর ব্যাপিয়া রহিয়াছেন, যাহার শ্ৰীপাদপদ্ম, আমরা যৎকর্তৃক দেখিতে পাই,—সেই গুরুদেবকে প্রণাম করি । হায় ! গুরুদ্বেষ, আর আমার প্রতি দ্বেষ, একই কথা । যিনি গুরুভক্ত, তিনি আমারও ভক্ত । প্রকৃত ভক্ত-শিষ্য, গুরুর দোষদর্শনে সৰ্ব্বদা অন্ধ থাকিবে । “যদিও আমার গুরু শুড়ীবাড়ী যায়, তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়”,— এই ভাব দ্বারা সে সৰ্ব্বদা পরিচালিত হইবে । গুরু,— ‘নর-নারায়ণ' । তিনি সাধারণ মনুষ্য নহেন । ভক্ত-শিষ্য, গুরুর উপকারার্থ, জীবন বিসর্জন করিতে কুষ্ঠিত হইবেন না । কিন্তু হায় ! এরূপ শিষ্য আজকাল আর দেখিতে পাই না। শিষ্যের আত্মা উৰ্দ্ধগামী কি অধোগামী, ইহার অনুসন্ধানের জন্যই, গুরু, আমা কর্তৃক নিয়োজিত হন। পিতা, মাতা, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা, শিক্ষক ও দীক্ষাগুরু, এই আসন গ্রহণ করেন। যাহার এই গুরুগণের প্রতি ভক্তিহীন, তাহাদের মুক্তি নাই। পক্ষান্তরে, গুরুগণও, শিষ্যগণকে, স্থপথে আনয়ন করিতে, যাবতীয় শক্তির প্রয়োগ করিবেন। শিক্ষা, দীক্ষা ও সংযম ব্যতীত, “গুরু হওয়ার” প্রয়াস বিফল। হায় । এক্ষণে, “গুরুগিরি" একটি ব্যবসায় হইয়া উঠিয়াছে ।

  • సెపి.