প্রথম আল্যাম্র । নন্দীগ্রামের জমিদার বাটী-দর্শন । বৈশাখ মাস । ভগবান মরীচি-মালী ময়ুখ-মাল বিস্তার করিতে করিতে মধ্য গগনে উঠিলেন । প্রকৃতি নীরব ও নিস্তব্ধ ; প্রান্তর জন-মানব-বিহীন ; চারিদিকে যেন অগ্নি-কুণ্ড ধৃ ধূ করিয়া জুলিতেছে । নিদাঘের এই মধ্যাকু সময়ে, এরূপ অগ্নি-কুণ্ডের মধ্যদিয়া, পথ-শ্রান্ত ও ক্ষুধার্ট ব্রাহ্মণত্রয়, নন্দীগ্রামের জমিদারহলধর বাবুর ভবনে উপস্থিত হইলেন । হলধর বাবু একজন ধনবান লোক ; বয়স সত্তর বৎসর ; তাহার বার্ষিক আয়, দুই লক্ষ টাকা ; দাস-দাসী, পাচক-পাচিক, আমলা-গোমস্ত, পাইকবরকন্দাজ অনেক ; কিন্তু, দুঃখের বিষয়, গুহে দুটি রক্ষিতা অবিদ্যা ভিন্ন, অন্য আপন লোক নাই । দত্তকপুত্র গ্রহণের প্রস্তাব, অনেকবার শুনিয়াছি, কিন্তু, কেন তাহা কার্ঘ্যে পরিণত হয় নাই, বলিতে পারি না । ব্রাহ্মণত্রয়, হুরমা অট্টালিকার শোভা নিরীক্ষণ করিতে করিতে, সিংহ-দ্বারে উপস্থিত হইলেন ; দেখিলেন, তথায় যমদূতের ন্যায় ভীষণাকৃতি এক পুরুষ-পুঙ্গব দণ্ডায়মান। গণেশ জিজ্ঞাসা করিলেন, “দ্বারবানজি, হামলোক তিন বাহমন এহ মেহামান ( অতিপি ) হো শক্তে হেঁ” ?
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।