দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । করিয়া যাইব ।” নারদ ও গণেশ উভয়েই এই প্রস্তাব শ্রবণে আনন্দ প্রকাশ করিলেন এবং পরদিন প্রাতঃকালেই যাত্রা করিবেন, এরূপ স্থির করিলেন । অনন্তর দেবগণ শয়ন করিলেন এবং এ দেশের আভ্যন্তরিক অবস্থা পৰ্য্যালোচনা করিতে করিতে, নিদ্রাদেবীর কোমল ক্রোড়ে আশ্রয় লইলেন । দেবগণের হরপল্লীগ্রাম পরিত্যাগ। রাত্রি প্রভাত হইল । দেবগণ উঠিয়া প্রাতঃকৃত্য সমাপন করিলেন। দেবালয়স্বামী ও পূজকগণ অশ্রুপূর্ণলোচনে তাহাদের পদধূলি লইলেন। নারায়ণ আশীৰ্ব্বাদ করিতে করিতে বলিলেন, “র্কাদিও না ; আবার দেখা হবে ; মিলন ও বিচ্ছেদ পরস্পর অনুগামী । হরিপদে সৰ্ব্বদা ভক্তি রাখিও । হরিভক্তিই, ইহকাল ও পরকালের সহায় ; বিশেষতঃ, যাহার কৰ্ম্মহীন, এ সংসারে, তাহাদের পক্ষে, এমন জিনিষ আর নাই। আমি সন্ন্যাসীদেরও গুরু ; আজ, এই গুঢ়তম কথা তোমাদিগকে বলিলাম। মনে রাখিও । “হরিবোল” “হরিবোল” “হরিবোল”, আমরা চলিলাম ” দেবগণ পদব্রজে গমন করিতে লাগিলেন । কোথায়ও বায়ুবেগে গমনশীল রেলগাড়ী, কোথায়ও বা নদীবক্ষে ভাসমান জাহাজ দর্শন করিয়া তাহারা পরমানন্দ লাভ করিলেন । নারদ বলিলেন, “প্রভু, হরিভক্ত মানবগণের জন্য, মর্ত্য হইতে З е в
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।