পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । দেখ বৎস! কবির কথাগুলি ঠিক বটে। আহা ! কি সুন্দর স্থান । বিধাতা, রাজাধিরাজ ইংরেজকে, ভারতের মঙ্গলের জন্যই সুদূর ইংলণ্ড হইতে আনয়ন করিয়াছেন। তাহারা, দেশ, বহুল পরিমাণে সুখময় ও শান্তিময় করিয়াছে বটে, কিন্তু লোকের মন উন্নত করিতে পারে নাই ; মন, এখনও অন্ধকারময় ; তথায় হিংসা, দ্বেষ, ক্ষুদ্রতা, কপটতা ও কুটিলতা বাস করে। আশা হয়, কালে, ইংরেজের ক্রোড়ে লালিত পালিত হইয়া, ভারতসন্তানগণ, পূৰ্ব্বগৌরব লাভে সমর্থ হইবে । কিন্তু, এক বিষম অন্তরায় উপস্থিত ;–এ দেশে তুর্ভিক্ষ নামে, এক বিকট বদন রাক্ষস আবিভূর্ত হইয়া, তাহাদের যাবতীয় শক্তি অপহরণ করিতেছে । ইহাতেও হতাশ হইবার কারণ নাই ; যেহেতু, ইংরেজ অসাধ্যসাধনে সক্ষম ; চেষ্টা করিলে, এই দানবের বিনাশসাধন, তাহাদের নিকট একটি অসম্ভব ব্যাপার নয়। এই রাক্ষস নিহত হইলে, ভারত, রামরাজ্যের ন্যায় সুখময় স্থান হইবে।” নারায়ণের এ সকল কথা শ্রবণ করিয়া, নারদ বলিলেন, “প্ৰভু বাস্তবিক এ দেশে অন্নচিন্তা এক বিষম সমস্ত হইয় উঠিয়াছে। এই অন্নাভাব দূরীকৃত হইলে, ভারতসন্তান যে নবজীবন লাভ করিবে, তাহাতে অণুমাত্রও সন্দেহ নাই ।” নারায়ণ বলিলেন, “বৎস, তুমি যথার্থ কথাই বলিয়াছ। এস, এক্ষণে আমরা স্নান করি । বৎস, হরহৃদিবিলাসিনী জাহ্নবী দর্শনে আমার মনে যে কি অপার আনন্দের উদয় হইয়াছে, ૨ ૭ 8