পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । তাহা আমাদের অসাধ্য।” নারায়ণ বলিলেন, বৎস,“রামকৃষ্ণ” বালকের স্যায় সরল ছিলেন,—সময় সময় কাদিয়া বলিতেন, “মা ! ওমা ! আমায় বলেদে,—কোনটি সুপথ, কোনটি কুপথ” ; তিনি কামিনী-কাঞ্চনের মায়ায় কখনও মুগ্ধ হন নাই ! এরূপ সরল ভক্ত কোথায় ? সরল-ভক্তিই মুক্তির কারণ ! বৎস, মুক্তি চাহিলে, ঠিক এইরূপ সরল হইতে হয়।” নারায়ণের কথা শ্রবণ করিয়া, নারদ ও গণেশ, “মা ! মা ! বলিয়া কঁাদিতে লাগিলেন” । নারায়ণ বলিলেন, “কাদিও না,— স্থির হও ।” তাহারা সুস্থ হইয়া, মায়ের নাম কীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন। নারায়ণও তাহাদের সঙ্গে গান গাইতে লাগিলেন ; ক্রমে ক্রমে আরও দশ বিশ জন লোক তাহাতে যোগ দিল । এইরূপ সুমধুর সঙ্গীতধ্বনিতে, অট্টালিকা শোভিত সমস্ত উদ্যান মুখরিত হইয়া উঠিল । সঙ্গীত শেষ হইল ! দেবগণ সন্ধ্য বন্দনাদি সমাপনপূর্বক, মায়ের কিঞ্চিৎ প্রসাদ ভক্ষণ করিয়া শয়ন করিলেন । রাত্রি প্রভাত হইল। দেবগণ উঠিয়া, প্রাতঃকৃত্য সমাপন করিলেন । নায়ায়ণ বলিলেন, “বৎস, আমরা এস্থানে কিয়দিবস অবস্থিতি করিব । হরিনাম প্রচারের এক নূতন পন্থা স্থির করিয়াছি,—“ভজ রাধা, রাধা শু্যাম, ত্রীরাধা গোবিন্দনাম” —নারায়ণ মধুসুদন, নারায়ণ মধুসূদন,—প্রতি গৃহে উপস্থিত হইয়া, কেবল এই শব্দোচ্চারণ করিবে । কলিকাতার 象 >や。