দেবগণের অভিনব ভারত-দশন । অনস্তর, এই চিন্তা, তাহার মনে উদিত হইল,—হায় । বিলাসিতার প্রভাবে সাত্ত্বিকভাব একরূপ বিলুপ্ত। নিকৃষ্ট গন্ধৰ্ব্বভাব পূর্ণ প্রকাশিত ! অধিকাংশ লোকই শারীরিক সৌন্দর্য্যলাভে যতদূর প্রয়াসী, মানসিক উন্নতি বিধানে, ততদূর প্রয়াসী নহে । অনেকেই, সুবর্ণ-পিঞ্জরে বায়সের ছানা পোষার ন্যায়, স্থ শ্রী ও সুগন্ধময় দেহে নিতান্ত ঘৃণিত ও কলুষিত আত্মা পোষণ করে। হায় | ঋষিগণের পুণ্যভূমিতে এরূপভাব শোভা পায় না;—এদেশে আত্মার পবিত্রতা ও উজ্জ্বলতা লাভই মুখ্য বিষয়; আর দেহের সৌষ্ঠব বিধান, গৌণ বিষয় বলিয়া পরিগণিত। অবশ্য, স্বাস্থ্য রক্ষার নিয়মানুসারে, শরীর, পরিচ্ছন্ন রাখা সঙ্গত বটে, কিন্তু, তাহার সীমা অতিক্রম করিলেই, বিলাসিতার সীমায় পদার্পণ করিতে হয়। বিলাসিতায়, চরিত্রহীনতা আনয়ন করে ; বিলাসিত অভাবগ্রস্ত ভারত সস্তানগণের অভাব দিন দিন আরও বৃদ্ধি করিতেছে। বিলাস-দাসের কত কি ষে আবশ্যক হয় এবং তাহারা যে কত অর্থক্ষয় করে, তাহা চিন্তা করিতে গেলে, স্তম্ভিত হইতে হয় । সাধারণতঃ, লোকের জুতা, জামা ও পরিচ্ছন্ন বস্ত্রাদি থাকিলেই, ভদ্র সমাজে যাওয়ার কোন বাধা হয় না,–কিন্তু হায় । জুতা, জামা, কোট, রেসমি চাদর কি আলোয়ান, মিহি বিলাতি কাপড়, সাবান, সুগন্ধি তৈল,এসেন্স, আয়না, চিরুণী,উৎকৃষ্ট ছড়ি এবং স্থলবিশেষে, সুবর্ণফুেইম যুক্ত চশমা ও সোণার বোতাম প্রভৃতি দ্বারা অঙ্গের শোভা-বৰ্দ্ধন ন৷ করিলে বিলাস-পরায়ণ ব্যক্তি অন্যত্র গমনে অক্ষম ; আর ९२ ●
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।