পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন । ক্ৰন্দন করিতে করিতে বলিল, “মাগো ! আমরা মহাপাপিনী ; জন্মমাত্র আমাদের মৃত্যু হইলে, ভাল হইত । আমাদেরও কি আবার মুক্তি আছে ? আমরা নরকের কীট, নরক ভোগ করিব।” বৃদ্ধ বলিলেন, “মা, তা নয় ; কঠোর উপাসনা দ্বারা, উৎকট পাপ হইতেও মুক্ত হওয়া যায়। কোনও চিন্তা করিও না, মন প্রাণ ভগবানে সমর্পণ কর । আমি শ্রীবৃন্দাবন ধামে তোমাদের সহিত সাক্ষাৎ করিব। মাগো, আমি এক্ষণে চলিলাম ” বারবনিতাগণ র্তাহার পদধূলি লইল এবং তাহাকে এক একটি টাকা “প্রণামী” দিল । বৃদ্ধ আশীৰ্ব্বাদ করিলেন, “তোমাদের সুমতি হউক ; তোমর রাধা-রাণীর দাসী হওয়ার যোগ্য হও ”; কিন্তু, তিনি টাকা গ্রহণ করিলেন না । অনন্তর তাহারা সকলেই চিন্তাকুল চিত্তে স্ব স্ব কুঠরীতে প্রত্যাগমন করিয়া, শয়ন করিল ; তাহাদের মদ্যপান ও আসার আমোদ প্রমোদ বন্ধ রহিল । এদিকে স্ত্রীমূৰ্ত্তিধারী নারায়ণ, অন্য বারবিলাসিনী গৃহে গমন করিলেন ; তথায় দেখিলেন, চারিটি ভদ্রলোক আর চারিটি বারবনিতা, দুইভাগে বিভক্ত হইয়া, দুখানা পালঙ্কোপরি বসিয়া, তাস খেলিতেছে ; এক এক বারবনিতা, এক এক পুরুষের সহযোগিনী। এই ক্রীড়া-মত্ত যুবক যুবতীর সমক্ষে কয়েকটি মদের বোতল, আর কতিপয় পানপাত্র বিদ্যমান ছিল । বৃদ্ধ উপস্থিত হইলে, একজন বারবিলাসিনী চমকিত ২৩২